Earthquake in Papua New Guinea

৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ! ভোরেই জারি সুনামি সতর্কতা

শনিবার ভোরে দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপে ভূমিকম্প হয়েছে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৯। আধ ঘণ্টার ব্যবধানে আরও একটি কম্পন হয়, যার মাত্রা ছিল ৫.৩।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:৩২
Earthquake in coast of Papua New Guinea triggers tsunami warning

প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপের উপকূলে ভূমিকম্প। —প্রতীকী চিত্র।

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত পাপুয়া নিউ গিনির একটি দ্বীপ। আমেরিকার জিওলজিক্যাল সার্ভের রিপোর্ট অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৯। এর কয়েক মিনিটের মধ্যে জোরালো ‘আফটারশক’ (ভূমিকম্পের পরবর্তী কম্পন) হয়, যার মাত্রা ছিল ৫.৩। জোড়া কম্পনের ফলে ওই এলাকায় সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

Advertisement

স্থানীয় সময় অনুযায়ী, শনিবার ভোর ৬টা ৪ মিনিটে প্রথম বার কাঁপে পাপুয়া নিউ গিনির নিউ ব্রিটেন দ্বীপ। ওই দ্বীপের উপকূলের অন্তত ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পের উৎস। এর ফলে সমুদ্রে ঢেউয়ের উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটা বেড়ে যায়। আমেরিকার প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্কতা কেন্দ্র জানিয়েছে, নিউ ব্রিটেন দ্বীপে তিন থেকে ন’ফুট পর্যন্ত হতে পারে ঢেউয়ের উচ্চতা। এ ছাড়াও পাপুয়া নিউ গিনির বেশ কিছু দ্বীপে সুনামির ফলে উঁচু ঢেউয়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। প্রতিবেশী সলোমন দ্বীপপুঞ্জেও এর প্রভাব পড়তে পারে। আমেরিকার জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, পাপুয়া নিউ গিনিতে শনিবার ভোরে দু’টি কম্পনের মধ্যে মাত্র ৩০ মিনিটের ব্যবধান ছিল।

দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের উপর স্বতন্ত্র দ্বীপরাষ্ট্র পাপুয়া নিউ গিনি। এই অংশের অধিকাংশ দ্বীপই ভূমিকম্পপ্রবণ। কারণ, এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভূমিকম্প বলয়ের অন্তর্গত। যে সমস্ত দ্বীপে জনবসতি কম, সেখানে ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয় না। তবে কম্পনের ফলে ভূমিধস দেখা দিতে পারে। এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির তেমন কোনও পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি।

কিছু দিন আগে ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ভারতের প্রতিবেশী মায়ানমারে। গত ২৮ মার্চ রিখটার স্কেলে মায়ানমারের জোড়া কম্পনের মাত্রা ছিল যথাক্রমে ৭.৭ এবং ৬.৭। এর ফলে বহু ঘরবাড়ি, সেতু ভেঙে পড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাস্তাঘাট। ভূমিকম্পে মায়ানমারে মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে তিন হাজারের গণ্ডি। এখনও সেখানে ‘আফটারশক’ থামেনি। তার এক সপ্তাহের ব্যবধানে এ বার কাঁপল প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপ।


Advertisement
আরও পড়ুন