Donald Trump

ট্রাম্প জমানায় আমেরিকায় সরকারি ভাবে লিঙ্গ দু’টিই, পুরুষ এবং স্ত্রী! উঠছে প্রতিবাদের স্বর

আমেরিকায় সরকারি নথিপত্রে এ বার থেকে দু’টি লিঙ্গের কথাই উল্লেখ থাকবে— পুরুষ এবং স্ত্রী। শপথ নেওয়ার পরই পুরনো নিয়ম বদলে ফেলার কথা বলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শীঘ্রই নির্বাহী আদেশও জারি করা হবে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:০৬
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।

আমেরিকায় এ বার থেকে সরকারি খাতায় লিঙ্গ দু’টিই— পুরুষ এবং স্ত্রী। এর বাইরে আর কোনও লিঙ্গ থাকছে না ডোনাল্ড ট্রাম্পের জমানায়। সোমবার প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নিয়েই সরকারি নীতি স্পষ্ট করে দিয়েছেন ট্রাম্প। দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর ট্রাম্প জানান, শীঘ্রই তিনি এ বিষয়ে একটি নির্বাহী আদেশও জারি করবেন।

Advertisement

শপথ নেওয়ার পর ট্রাম্প বলেন, “এখন থেকে আমেরিকার সরকারি নীতি অনুসারে শুধুমাত্র দু’টি লিঙ্গ থাকবে— পুরুষ এবং মহিলা।” সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’ জানিয়েছে, নির্বাহী আদেশ অনুসারে পাসপোর্ট, ভিসা এবং অন্য সব সরকারি নথিপত্রে পুরুষ এবং মহিলা— এই দু’টি লিঙ্গই উল্লেখ থাকবে। নির্দেশ অনুসারে, শারীরিক গঠনগত দিক থেকে যে মানুষ যে লিঙ্গের, সেটিই উল্লেখ থাকবে সরকারি নীতিতে। কোনও পুরুষ নিজেকে মহিলা মনে করতে পারেন, বা কোনও মহিলা নিজেকে পুরুষ মনে করতে পারেন, সরকারি নথির ক্ষেত্রে এই ধারণা থেকে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলিকে বেরিয়ে আসার কথা বলা হয়েছে।

রূপান্তরকামীদের জন্য সরকারি নথিতে পৃথক লিঙ্গের ব্যবস্থা নিয়ে নীতি চালু করেছিলেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। চার বছর আগে ওভাল অফিসের দায়িত্ব নিয়ে প্রথম দিনেই এই নীতি চালু করেছিলেন বাইডেন। ট্রাম্প দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসতেই ওই নীতি বদলে ফেলতে উদ্যোগী হলেন ট্রাম্প।

ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব হয়েছে আমেরিকার বিভিন্ন মানবাধিকার এবং তৃতীয় লিঙ্গের অধিকার সংক্রান্ত সংগঠনগুলি। আমেরিকায় তৃতীয় লিঙ্গের অধিকার সংক্রান্ত সবচেয়ে বড় সংগঠন ‘হিউম্যান রাইট্‌স ক্যাম্পেন’-এর সভাপতি কেলি রবিনসন বলেছেন, “আমরা পিছু হটছি না। ভয়ও পাচ্ছি না। আমরা কোথাও পালিয়ে যাচ্ছি না। আমরা নিজেদের সর্বশক্তি দিয়ে এর বিরুদ্ধে লড়াই করব।”

Advertisement
আরও পড়ুন