ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টর্স।
তিনিই যে আসন্ন নির্বাচনে তাঁর দল রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী, তা এক প্রকার নিশ্চিতই ছিল। সোমবার সেই খবরেই সিলমোহর পড়ল। রিপাবলিকান পার্টির জাতীয় সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক ভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসাবে মনোনীত করা হয়। সহকর্মীদের ভোটে জেতেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, নিজের ‘রানিং মেট’ বা ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীও বেছে নেওয়া হয় ওই সম্মেলনে। ওহায়োর সেনেটর জেডি ভ্যান্সকে এই পদের জন্য মনোনীত করেছে রিপাবলিকান পার্টি। ট্রাম্প নিজেই ভ্যান্সের নাম প্রস্তাব করেন।
৩৯ বছর বয়সি রাজনীতিক ভ্যান্স এর আগেও একাধিক বার সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছেন। একটা সময় তাঁকে ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় সমালোচক বলে মনে করা হত। এমনকি ট্রাম্পকে ‘আমেরিকার হিটলার’ বলেও অভিহিত করেছিলেন ভ্যান্স। তবে ২০২১ সাল থেকে ভ্যান্স এবং ট্রাম্পের মধ্যে বরফ গলতে শুরু করে। পেশায় আইনজীবী ভ্যান্স ২০২৩ সালে ওহায়োর সেনেটর হিসাবে নির্বাচিত হন।
সমাজমাধ্যমে ট্রাম্প একটি পোস্ট করে লেখেন, ‘‘ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে জেডি আমাদের সংবিধানের জন্য লড়াই চালিয়ে যাবেন। আমাদের সেনাবিহিনীর পাশে দাঁড়াবেন। আমেরিকাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমার পাশে থাকবেন।’’
উল্লেখ্য, গত শনিবার পেনসিলভেনিয়াতে ভোট প্রচারে বক্তৃতা দেওয়ার সময়েই আক্রান্ত হন ট্রাম্প। তাঁর মঞ্চ থেকে ১৩০ গজ (১১৯ মিটার) দূরে একটি উঁচু ছাদ থেকে ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে একাধিক গুলি ছুড়েছিলেন টমাস ক্রুক। ডনের কান ছুঁয়ে বেরিয়ে যায় সেই গুলি। তবে ক্রুকের ছোড়া গুলিতে ট্রাম্পের দলের এক জন সমর্থক নিহত হন।
পেনসিলভেনিয়ার ঘটনা নাড়া দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। রক্তাক্ত ট্রাম্পকে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশও করেছেন অনেকে। তবে এই হামলার পরে তিনি যে দমে যাননি, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন তখনই। মঞ্চ থেকে যখন তাঁকে সরিয়ে নিয়ে গাড়িতে তোলা হচ্ছে তখন সমর্থকদের উদ্দেশে মুষ্টিবদ্ধ হাত দেখান ট্রাম্প। বুঝিয়ে দেন, লড়াই ছাড়বেন না। ওই ঘটনার পরের দিনই তিনি উড়ে যান মিলাওয়াকিতে। সেখানেই রিপাবলিকান পার্টির জাতীয় সম্মেলনে যোগ দেন ট্রাম্প। সেখানেই তাঁকে দেখা যায় অন্য মেজাজে। তবে তাঁর ডান কানে সাদা ব্যান্ডেজ লাগানো ছিল। শনিবারের হামলার ঘটনার পর প্রথম জনসমক্ষে আসেন ট্রাম্প।