Plane Crash in Washington

ওয়াশিংটনে চপারের সঙ্গে সংঘর্ষ কেন, আমেরিকার বিমান বিভাগে কোথায় গলদ? ফুঁসছেন ট্রাম্প

ট্রাম্পের বক্তব্য, আমেরিকার বিমান বিভাগে পূর্বতন সরকারের আমলে অযোগ্য কর্মীদের নিয়োগ করা হয়েছে। তারই ফল বৃহস্পতিবারের ঘটনা। ৪০টির বেশি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে নদী থেকে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:১৩
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।

ওয়াশিংটনে বিমান-চপার সংঘর্ষে কোনও যাত্রীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই। বিমান এবং চপার সংঘর্ষের পর ভেঙে পড়ে পটোম্যাক নদীতে। একের পর এক দেহ সেখান থেকে উদ্ধার করা হচ্ছে। এই দুর্ঘটনায় ক্ষুব্ধ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পূর্বতন সরকারের নীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। সরাসরি দায়ী করেছেন জো বাইডেন এবং বারাক ওবামা প্রশাসনকে।

Advertisement

ট্রাম্পের বক্তব্য, আমেরিকার বিমান বিভাগে পূর্বতন সরকারের আমলে অযোগ্য কর্মীদের নিয়োগ করা হয়েছে। তারই ফল বৃহস্পতিবারের ঘটনা। ওবামা এবং বাইডেন তাঁদের আমলে বিমান বিভাগে বৈচিত্র্যের নীতি চালু করেছিলেন। নিয়োগের ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হত বৈচিত্র্য এবং সমতায়। এর ফলে নিয়োগপ্রক্রিয়ায় বর্ণবৈষম্যও এড়ানো গিয়েছিল বলে দাবি ডেমোক্র্যাট সমর্থকদের। তবে ট্রাম্প জানিয়েছে, এই নীতি মেনে নিয়োগ করতে গিয়ে তাঁর পূর্বতনেরা আকাশপথের সুরক্ষার সঙ্গে আপস করেছেন।

আমেরিকার ফেডেরাল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনস্ট্রেশনে (এফএএ) নিয়োগপ্রক্রিয়া নিয়ে আগেও প্রশ্ন উঠেছে। প্রাক্তন পরিবহণ সচিবের দিকে সরাসরি আঙুল তুলেছেন ট্রাম্প। অভিযোগ, তিনি জেনেশুনে এমন ব্যক্তিদের বিমান বিভাগে নিয়োগ করেছেন, যাঁরা অযোগ্য, অক্ষম এবং যাঁদের মানসিক সমস্যা রয়েছে।

দুর্ঘটনার পর এফএএ-র ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক হিসাবে ক্রিস রচেলিয়াউকে নিয়োগ করেছেন ট্রাম্প। আগামী দিনে নিয়োগ প্রক্রিয়াতেও তিনি বদল আনতে পারেন।

ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসের থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে বৃহস্পতিবার আমেরিকান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ভেঙে পড়ে। সেনাবাহিনীর চপারের সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে এই দুর্ঘটনা। বিমানে ৬৪ জন ছিলেন। চপারে ছিলেন পাইলট-সহ তিন জন। ৪০টিরও বেশি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকাজ চলছে। কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

Advertisement
আরও পড়ুন