ওয়াশিংটনে বিমান এবং চপারের সংঘর্ষ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
হোয়াইট হাউস থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরত্বে বড়সড় বিমান দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে। যাত্রিবাহী বিমানের সঙ্গে আমেরিকার সেনাবাহিনীর চপার ধাক্কা খেয়েছে মাঝ আকাশে, তাতে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। জখম আরও অনেকে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই দুর্ঘটনা অনায়াসে এড়ানো যেত বলে দাবি তাঁর। সেনার চপারের উপরেই ঘটনার দায় চাপিয়েছেন ট্রাম্প। তাঁর বক্তব্য, বিমান দেখে আগেই চপারের সরে যাওয়া উচিত ছিল। সেনার কন্ট্রোল টাওয়ারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ট্রাম্প।
৬৪ জন যাত্রী নিয়ে ওয়াশিংটনের রোনাল্ড রিগান বিমানবন্দরে অবতরণের সময়ে চপারে ধাক্কা খায় আমেরিকান এয়ারলাইন্সের ৫৩৪২ বিমান। চপারের সঙ্গে বিমানটিও পোটোম্যাক নদীতে ভেঙে পড়েছে। উল্টো দিক থেকে সেনার চপারটি একই উচ্চতায় চলে এসেছিল বলেই এই দুর্ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। উদ্ধারকাজ চলছে। ট্রাম্প নিজের সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘বিমানটি সঠিক লাইনে ছিল। কিন্তু হেলিকপ্টারটি বিমানের দিকে সোজা এগিয়ে যায়। রাতের আকাশ যথেষ্ট পরিষ্কার ছিল। বিমানে আলো জ্বলছিল। হেলিকপ্টারটি উপরে উঠে যেতে পারত, নীচে নেমে আসতে পারত কিংবা উল্টো দিকে ঘুরে যেতে পারত। কেন তা করা হল না? কন্ট্রোল টাওয়ার থেকেই বা কেন কপ্টারকে এই সংক্রান্ত সঠিক নির্দেশ দেওয়া হল না?’’
সমাজমাধ্যমে এই বক্তব্য জানালেও সরকারি বিবৃতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেননি ট্রাম্প। সেখানে এই দুর্ঘটনাকে ‘ভয়ানক বিপর্যয়’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। আমেরিকার জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। জানিয়েছেন, তিনি পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন।
আমেরিকার সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, চপারে পাইলট-সহ তিন জন ছিলেন। তাঁদের প্রশিক্ষণ চলছিল। এখনও কারও দেহ উদ্ধার করা যায়নি। বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই।