Bus Accident

পদ্মা সেতুর রাস্তায় দুর্ঘটনায় মৃত ১৭, মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধির আশঙ্কা, কী ভাবে দুর্ঘটনা, চলছে অনুসন্ধান

পদ্মা সেতুতে ওঠার আগে মহাসড়কের উপর নিয়ন্ত্রণ হারায় ইমাদ পরিবহণের যাত্রিবোঝাই বাসটি। তার পরেই রেলিং ভেঙে পাল্টি খেয়ে তা গিয়ে পড়ে খাদে। মৃতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
ঢাকা শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৩ ১২:৪০
image of the accident spot

ঢাকাগামী বাস উল্টে মৃত্যু বহু মানুষের। ছবি: সংগৃহীত।

রবিবার সকালে দুর্ঘটনার কবলে পড়ল ঢাকাগামী একটি যাত্রিবোঝাই বাস। মহাসড়কের রেলিং ভেঙে খাদে পড়ে যায় বাসটি। এখনও পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আহতের সংখ্যা ৩০-এর বেশি। মৃতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা।

বাংলাদেশের সংবাদপত্র ‘প্রথম আলো’য় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, রবিবার ভোরে খুলনা থেকে বাসটি ছাড়ে। গন্তব্য রাজধানী ঢাকা। সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ ইমাদ পরিবহণের যাত্রিবোঝাই বাসটি মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কুতুবপুর এলাকায় বাসের চালক স্টিয়ারিংয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ হারান। পদ্মা সেতুর আগে মহাসড়কের রেলিং ভেঙে পাল্টি খেয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে বাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়।

Advertisement

বাসে ঠিক কত জন যাত্রী ছিলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এখনও পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৩০ জনেরও বেশি যাত্রীকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। উদ্ধারকারী এবং চিকিৎসকদের আশঙ্কা, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

কী কারণে দুর্ঘটনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে মনে করা হচ্ছে বাসের চালক অতিরিক্ত গতিতে চালাচ্ছিলেন। মহাসড়কের উপর আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারান তিনি। ফরিদপুরের দমকল আধিকারিক শিপলু আহমেদ বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, অতিরিক্ত গতির কারণে বাসের টায়ার ফেটে যায়। তার পরেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা।’’

দুর্ঘটনার পর কুতুবপুর এলাকার হায়দার আলি স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়েতে কম-বেশি দুর্ঘটনা ঘটছে। তবে মহাসড়কের রেলিং ভেঙে বাস খাদে পড়ে এত প্রাণহানির ঘটনা আগে ঘটেনি। এটি এক্সপ্রেসওয়েতে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা।’’

আরও পড়ুন
Advertisement