Coronavirus

Covid-19: এক সপ্তাহে নতুন আক্রান্ত ১ কোটি ১০ লক্ষ! বিশ্ব জুড়ে ফের বৃদ্ধি করোনা সংক্রমণে

চিন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার পাশাপাশি সংক্রমণ বৃদ্ধির পরিসংখ্যান এসেছে আমেরিকা, জার্মানি, ভিয়েতনাম এমনকি আফ্রিকার দেশগুলি থেকেও।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
জেনিভা শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২২ ১৪:০২
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

এক সপ্তাহে সংক্রমণের হার বেড়েছে ৮ শতাংশেরও বেশি! গত ৭ থেকে ১৩ মার্চের করোনা-পরিসংখ্যান বিশ্লেষণের পর এ কথাই জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। সেই পরিসংখ্যান বলছে, ওই সময়সীমার মধ্যে বিশ্বে নতুন করে প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ মানুষ কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৪৩ হাজার জনের।

জানুয়ারির পরে করোনা সংক্রমণের লেখচিত্র এতটা ঊর্ধ্বমুখী হয়নি বলে জানিয়েছে হু। চিন, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো এশিয়ার দেশগুলিতে এ বার সংক্রমণের বৃদ্ধির হার ২৫ শতাংশ। যা উদ্বেগজনক বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। তবে এই পরিসংখ্যানের চেয়েও বাস্তব পরিস্থিতি অনেক গুরুতর বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হু-র ডিরেক্টর টেড্রস অ্যাডানম গেব্রেয়ুসাস। তিনি বলেন, ‘‘অনেক দেশেই পরীক্ষার হার অনেক কমে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী। যা দেখা যাচ্ছে, তা সম্ভবত হিমশৈলের চূড়ামাত্র।’’

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে আগেই চিন সরকার জিনিন প্রদেশকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশের বিভিন্ন শহরের নাগরিকদের কার্যত গৃহবন্দি করেও সংক্রমণে রাশ টানা সম্ভব হয়নি। এই পরিস্থিতিতে শি চিনফিং সরকারের ‘কোভিড-শূন্য’ রণকৌশল নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। পড়শি দেশ দক্ষিণ কোরিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ লক্ষেরও বেশি নতুন সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সে দেশের অতিমারি আবহে যা নতুন রেকর্ড। অন্য দিকে আফ্রিকায় ১২ শতাংশ এবং ইউরোপে ২ শতাংশ সংক্রমণ বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে।

Advertisement

চিন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার পাশাপাশি সংক্রমণ বৃদ্ধির পরিসংখ্যান এসেছে আমেরিকা, জার্মানি এবং ভিয়েতনাম থেকেও। সেই সূত্রে প্রশ্ন উঠছে, বিশ্ব জুড়ে যেখানে টিকাকরণের হার এখন অনেক বেড়েছে সেখানে সংক্রমণের হঠাৎ এই ঊর্ধ্বমুখী গতির কারণ কী? এর জবাবে হু-র কোভিড-১৯ টেকনিক্যাল দলের প্রধান মারিয়া ভ্যান খারকোভ বুধবার জানান, বিধিনিষেধ যত শিথিল হবে তত সংক্রমণের বহর আরও বাড়বে। জনসংখ্যার অধিকাংশের টিকা নেওয়া থাকলেও এ ক্ষেত্রে তাতে কিছু যায় আসে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement