Russian Spy

মা-বাবা রুশ গুপ্তচর, মস্কোয় জানল দুই খুদে

সম্প্রতি রাশিয়া বন্দি বিনিময় চুক্তি করে। তাতেই মুক্তি পেয়েছেন আর্টেম ডাল্টসেভ ও অ্যানা ডাল্টসেভা। এর পরেও কিন্তু তাঁদের ছেলেমেয়েরা জানতে পারেনি সত্যিটা কী।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
মস্কো শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০২৪ ০৯:০৩

ছবি: সংগৃহীত।

সোফিয়ার বয়স ১১, ড্যানিয়েলের ৮। মস্কো বিমানবন্দরে নামার আগে অবধি দুই ভাই-বোন জানত, তারা আর্জেন্টিনার মানুষ, বাবা-মায়ের কর্মসূত্রে স্লোভেনিয়ায় বাস। কিন্তু মস্কো বিমানবন্দরে নেমে তারা হতবাক। চার দিকে লোকজন দাঁড়িয়ে তাদের স্বাগত জানাতে। আর সেই ভিড়ে রয়েছেন খোদ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন!

Advertisement

শুনলে মনে হবে ফিল্মের চিত্রনাট্য, কিন্তু এই ঘটনাই ঘটেছে। আর সেই গল্প শুনিয়েছেন খোদ ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ। সোফিয়া ও ড্যানিয়েল জানত না তাদের মা-বাবা আসলে রুশ গুপ্তচর। বাবার ‘আর্টেম ডাল্টসেভ’ নামটাও তারা জানত কি না সন্দেহ। কারণ স্লোভেনিয়ায় তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত ব্যবসায়ী পরিচয়ে ‘লুদভিগ গিচ’ নামে বাস করতেন আর্টেম। সে দেশে স্ত্রী অ্যানা ডাল্টসেভার নাম ছিল মারিয়া রোজ়া মেয়ার মুনোস। তিনি ছিলেন আর্ট ডিলার ও একটি গ্যালারির মালিক। সকলে জানতেন তাঁরা আর্জেন্টিনার নাগরিক। কিন্ত ধরা পড়ে যান। গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে কারাদণ্ড হয়।

সম্প্রতি রাশিয়া বন্দি বিনিময় চুক্তি করে। তাতেই মুক্তি পেয়েছেন আর্টেম ডাল্টসেভ ও অ্যানা ডাল্টসেভা। এর পরেও কিন্তু তাঁদের ছেলেমেয়েরা জানতে পারেনি সত্যিটা কী। মুক্তির পরে সপরিবার তুরস্ক থেকে মস্কোগামী বিমান ধরেন আর্টেম। পেসকোভ জানান, আঙ্কারা থেকে বিমান মস্কোর উদ্দেশে রওনা দেওয়ার পরে সোফিয়া ও ড্যানিয়েল আন্দাজ পায়, তারা আসলে রুশ। তাদের বিমান যখন মস্কোয় নামে, তার আগে থেকেই টারম্যাকে উপস্থিত ছিলেন পুতিন। তিনি এগিয়ে গিয়ে স্প্যানিশে স্বাগত জানান দুই ভাইবোনকে।

পেসকোভ বলেন, “বাচ্চা দু’টি সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসে। ওরা রুশ ভাষা জানে না। পুতিন তাই এগিয়ে গিয়ে স্প্যানিশে বলেন ‘বুয়েনাস নোচেস’ (শুভ সন্ধ্যা)।” পেসকোভ জানান, পরে বাচ্চা দু’টি মা-বাবার কাছে জানতে চেয়েছিল, লোকটি কে। কারণ পুতিন কে, সেই ধারণাটুকুও ছিল না তাদের।

দীর্ঘদিন ধরেই পর্দার আড়ালে আমেরিকা, রাশিয়া, বেলারুস ও জার্মানির সমঝোতা পর্ব চলছিল। মস্কোর অন্যতম দাবি ছিল, একটি হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত রুশ নাগরিক ভাদিম ক্রাসিকোভের প্রত্যার্পণ। বার্লিন শেষমেশ সেই দাবি মেনে নিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ক্রাসিকোভ-সহ মোট ৮ জনকে রাশিয়ার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বিনিময়ে রাশিয়া মুক্তি দিয়েছে ১৬ জনকে। এর মধ্যে রয়েছেন আমেরিকান নৌ-আধিকারিক পল হেলান, একটি আমেরিকান দৈনিকের সাংবাদিক ইভান গেরশকোভিচ ও আরও দুই আমেরিকান নাগরিক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement