India-Canada Relation

ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপড়েনের মধ্যে দীপাবলি উদ্‌যাপনের ভিডিয়ো পোস্ট কানাডার প্রধানমন্ত্রীর

খলিস্তানিপন্থী নেতা হরদীপ সিংহ নিজ্জরের হত্যার পর থেকেই কানাডা এবং ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারতের ‘ভূমিকা’ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন ট্রুডো।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:২১
Canadian Prime Minister Justin Trudeau\\\\\\\\\\\\\\\'s diwali video amid peak India-Canada diplomatic tensions

কানাডায় দীপাবলি উদ্‌যাপন জাস্টিন ট্রুডোর। ছবি: এক্স (সাবেক টুইটার)।

কানাডায় দীপাবলি পালন করলেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। রবিবার ট্রুডো নিজেই সমাজমাধ্যমে দীপাবলি উদ্‌যাপনের বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি পোস্ট করেন। ভারত এবং কানাডার মধ্যে চলমান টানাপড়েনের মধ্যেই ট্রুডোর এই ভিডিয়ো উল্লেখযোগ্য বলে মনে করছেন কেউ কেউ।

Advertisement

ট্রুডো এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলের পোস্টে সকলকে দীপাবলির শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সেই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, ট্রুডোর হাতের কব্জিতে জড়ানো নানান রঙের সুতো। দেখে মনে হচ্ছে, তা কোনও না কোনও মন্দির থেকে পেয়েছেন তিনি। সেই বিষয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি গত কয়েক মাসে তিনটি ভিন্ন মন্দির দর্শনে গিয়েছিলাম। সেখান থেকেই আমি এই সুতোগুলো পাই।’’ ট্রুডো মনে করেন, যে কোনও হুমকি থেকে এই সুতো তাঁকে সুরক্ষা দেবে। দীপাবলিতে শুভেচ্ছা জানিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ইন্দো-কানাডিয়ান সম্প্রদায়ের মানুষ ছাড়া কানাডায় দীপাবলি উদ্‌যাপন সম্ভব হবে না। এই সম্প্রদায়ের মধ্যে রয়েছেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ।

উল্লেখ্য, খলিস্তানিপন্থী নেতা হরদীপ সিংহ নিজ্জরের হত্যার পর থেকেই কানাডা এবং ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারতের ‘ভূমিকা’ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন ট্রুডো। নিজ্জর হত্যাকাণ্ড নিয়ে ভারত এবং কানাডার মধ্যে দড়ি টানাটানি চলছে। সেই আবহে গত মঙ্গলবার কানাডার উপবিদেশমন্ত্রী ডেভিড মরিসনের মন্তব্য বিতর্ক আরও উস্কে দেয়। সম্প্রতি মার্কিন দৈনিক ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’-এর এক প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়, কানাডায় খলিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ এবং তাঁদের উপরে হামলা চালানোর ছাড়পত্র দিয়েছিলেন ‘ভারতের এক শীর্ষস্থানীয় পদাধিকারী’। সংবাদপত্রটি দাবি করে, অমিত শাহই সেই পদাধিকারী বলে কানাডার একটি সূত্র তাদের নিশ্চিত করেছে। উপবিদেশমন্ত্রী মরিসন মঙ্গলবার স্বীকার করেছেন, তিনিই সেই ‘সূত্র’। এই বিষয় প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

শাহের বিরুদ্ধে কানাডার মন্ত্রীর মন্তব্যের নিন্দা করে ভারত। স্পষ্ট জানানো হয়, এ ধরনের মন্তব্য ভিত্তিহীন এবং অযৌক্তিক। এ বিষয়ে নয়াদিল্লিতে অবস্থিত কানাডার দূতাবাসের এক কূটনীতিককে তলব করেছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক।

আরও পড়ুন
Advertisement