Share Market

বাজার হারাল ২২,০০০ কোটি বিদেশি পুঁজি

পরিসংখ্যান বলছে, জানুয়ারি মাসের প্রথম দশ দিনের মধ্যে তারা বিক্রি করেছে মোট ২২,১৯৪ কোটি টাকার শেয়ার।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ ০৭:৪০
একমাত্র ২ জানুয়ারি নিট হিসাবে বিদেশি লগ্নি ঢুকেছিল বাজারে।

একমাত্র ২ জানুয়ারি নিট হিসাবে বিদেশি লগ্নি ঢুকেছিল বাজারে। —প্রতীকী চিত্র।

নতুন বছরেও ভারতের শেয়ার বাজার থেকে পুঁজি তুলে নেওয়া বহাল রেখেছে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি। বরং তার গতি আরও বেড়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, জানুয়ারি মাসের প্রথম দশ দিনের মধ্যে তারা বিক্রি করেছে মোট ২২,১৯৪ কোটি টাকার শেয়ার। একমাত্র ২ জানুয়ারি নিট হিসাবে বিদেশি লগ্নি ঢুকেছিল বাজারে। বাদবাকি সব লেনদেনের দিনেই শেয়ার বেচেছে তারা।

Advertisement

বাজার মহলের মতে, এ দেশে বিভিন্ন সংস্থার শেয়ারের চড়া দর, ডলারের সাপেক্ষে টাকার দামে পতন, তৃতীয় ত্রৈমাসিকে সংস্থার আর্থিক ফল তেমন ভাল না হওয়ার ইঙ্গিত তো রয়েইছে। তার সঙ্গে আমেরিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনকালে অন্যান্য দেশের পণ্যে চড়া আমদানি শুল্ক বসার আশঙ্কাও ওই সমস্ত সংস্থাকে চিন্তায় ফেলেছে। যে কারণে তারা হাতের শেয়ার বেচে তহবিল তুলে নিচ্ছে। যদিও গত মাসে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি ভারতে কিনেছিল ১৫,৪৪৬ কোটি টাকার শেয়ার। আর পুরো ২০২৪ সালে নিট হিসাবে তারা ঢেলেছে ৪২৭ কোটি।

বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী দিনে শেয়ারে বিদেশি লগ্নির বিষয়টি নির্ভর করবে বেশ কিছু ঘটনার উপরে। সেগুলি হল—

  • আসন্ন বাজেট।
  • অর্থনীতির হাল। চলতি অর্থবর্ষের আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস ইতিমধ্যেই কমানো হয়েছে।
  • শিল্প পরিস্থিতি। কারণ, শিল্পবৃদ্ধির হার বাড়লেও তা বহাল থাকা নিয়ে সংশয় কাটেনি।
  • অন্যান্য দেশে সুদ। ইতিমধ্যেই আমেরিকার শীর্ষ ব্যাঙ্ক সুদ ছাঁটাইয়ের গতি কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছে।
  • দেশে শেয়ারের দর। যার সঙ্গে সংস্থার আয়-ব্যয়ের সামঞ্জস্য জরুরি।
  • আমেরিকার ঋণপত্রের বাজার।
Advertisement
আরও পড়ুন