Currency

ব্রাজ়িল, আর্জেন্টিনায় কি এ বার একই মুদ্রা? মাঠের লড়াই ফেলে একসুরে দুই প্রেসিডেন্ট

ব্রাজ়িল এবং আর্জেন্টিনার এই নৈকট্যের ইঙ্গিত মিলেছে একটি নিবন্ধে। একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রবন্ধটির দুই লেখক হলেন দুই দেশের প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্ডেজ এবং লুলা দি সিলভা।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
ব্রাজিলিয়া শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:৫৬
ব্রাজ়িল, আর্জেন্টিনায় কি এ বার একই মুদ্রা? মাঠের লড়াই ফেলে একসুরে কথা দুই দেশের।

ব্রাজ়িল, আর্জেন্টিনায় কি এ বার একই মুদ্রা? মাঠের লড়াই ফেলে একসুরে কথা দুই দেশের। ফাইল চিত্র।

ফুটবলের লড়াইয়ে যুযুধান দুই দেশ। কয়েক বছরের শীতলতার পর্ব পেরিয়ে আবার কাছাকাছি আসতে চলেছে লাতিন আমেরিকার দুই দেশ ব্রাজ়িল এবং আর্জেন্টিনা। বিশ্বের দুই ফুটবল শক্তিধর দেশের মধ্যে এই নৈকট্যের ইঙ্গিত মিলেছে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি নিবন্ধ থেকে। আর্জেন্টিনার একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রবন্ধটির দুই লেখক হলেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্ডেজ এবং ব্রাজ়িলের প্রেসিডেন্ট লুলা দি সিলভা। এই নিবন্ধেই দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান একই মুদ্রা চালু করার পক্ষে সওয়াল করেন।

Advertisement

নিবন্ধটিতে দুই রাষ্ট্রপ্রধান লেখেন, “আমাদের মধ্যে স্বাভাবিক আদানপ্রদানের ক্ষেত্রে যে সব বাধা আছে, সেগুলোকে আমরা টপকাতে চাই।” তাঁরা এ-ও লেখেন যে, “স্থানীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতেই আমরা দুই দেশে একই মুদ্রাব্যবস্থা চালু করা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছি।” এই বিষয়ে অবশ্য প্রথম প্রস্তাব এসেছিল ব্রাজ়িলের দিক থেকেই। গত বছর সে দেশের দুই রাজনীতিক ফার্নান্দো হাদ্দাদ এবং গ্যাব্রিয়েল গ্যালিপোলো প্রথম বারের জন্য বিষয়টি উত্থাপন করেন। নির্বাচনী প্রচারে বিষয়টি তুলে ধরেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুলাও।

দেশের মসনদে বসেই প্রথম বিদেশ সফরে আর্জেন্টিনায় গিয়েছিলেন লুলা। এমনিতেও ব্রা়জ়িল যে দেশের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি বাণিজ্যিক আদানপ্রদান করে থাকে, সেই দেশটির নাম আর্জেন্টিনা। মাঝের ৪ বছরে অবশ্য দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সহজ এবং স্বাভাবিক ছিল না। লাতিন আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের দেশগুলিকে নিয়ে গঠিত সংস্থা মূলত এই অঞ্চলের উন্নয়ন এবং দেশগুলির মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া নিয়ে কাজ করে। কিন্তু ব্রাজ়িলে জাইর বোলসেনারো ক্ষমতায় আসার পর এই সংস্থায় যোগ দিতে রাজি হয়নি পেলের দেশ। সংস্থা থেকে কিউবা এবং ভেনেজুয়েলাকে বের করে দেওয়ার দাবি জানান বোলসেনারো। অন্য সদস্য দেশগুলি তা মানতে চায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement