Bangladesh Interim Government

জাতীয় সংসদের নির্বাচনের দাবিতে ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের বার্তা দিল খালেদার বিএনপি

গত ১৬ অগস্ট মুক্তিযুদ্ধের বিজয় দিবসে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস তাঁর বক্তৃতায় বাংলাদেশে নির্বাচনের যে সম্ভাব্য সময়সীমা জানিয়েছিলেন তা নিয়ে আগেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল খালেদার দল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:২৩
(বাঁ দিকে) মুহাম্মদ ইউনূস এবং খালেদা জিয়া (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) মুহাম্মদ ইউনূস এবং খালেদা জিয়া (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।

জাতীয় সংসদের নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে টালবাহানার অভিযোগ তুলে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দল বিএনপি আবার মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিল। দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক মঞ্চ, স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদ বুধবার বলেন, ‘‘সরকারের ভুল শুধরে সঠিক রাস্তায় আনতে এবং রাজনৈতিক সরকারের পথ পরিষ্কার করতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে বিএনপি।’’ তাঁদের দলের এ পদক্ষেপকে আন্দোলনও বলা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন সালাউদ্দিন।

Advertisement

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত ডিসেম্বরে ইউনূস সরকারকে বিঁধে বলেছিলেন, ‘‘৫ অগস্ট আপনারা যেমন রাস্তায় নেমেছিলেন, আবারও ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নামতে হবে। ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার আদায়ের জন্য এবং ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য রাস্তায় নামতে হবে।’’ তার পর ফের হুঁশিয়ারি এল দলের এক শীর্ষস্তরের নেতার তরফে। প্রসঙ্গত, অসুস্থ খালেদা এখন চিকিৎসার জন্য ব্রিটেনে রয়েছেন। তাঁর পুত্র তারেকও দীর্ঘ দিন ধরেই সে দেশের বাসিন্দা।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ অগস্ট মুক্তিযুদ্ধের বিজয় দিবসে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস তাঁর বক্তৃতায় বাংলাদেশে নির্বাচনের যে সম্ভাব্য সময়সীমা জানিয়েছিলেন তা নিয়ে আগেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল খালেদার দল। বিজয় দিবসের বক্তৃতায় ইউনূস জানিয়েছিলেন, সব শর্ত পূরণ করলে ২০২৫-এর শেষ থেকে ২০২৬-এর প্রথমার্ধের মধ্যে ‘নির্বাচন করা যেতে পারে’। পরের দিন ইউনূসের প্রেস সচিব আবার ব্যাখ্যা দেন, ২০২৬-এর জুনের পরে নির্বাচন হতে পারে। তারেক এবং ফখরুল এর পরেই ‘নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে’ বলে অভিযোগ তুলেছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে।

Advertisement
আরও পড়ুন