বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। —ফাইল চিত্র।
সাজা মকুবের পর মঙ্গলবার মুক্তি পেয়েছেন বিএনপি প্রধান তথা বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। এ বার পেয়ে গেলেন পাসপোর্টও। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’য় প্রকাশ, মঙ্গলেই তাঁর পাসপোর্ট পুনর্নবীকরণ হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই পাসপোর্ট তুলে দেওয়া হয়েছে চিকিৎসাধীন বিএনপি নেত্রীর হাতে।
তবে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘নয়া দিগন্ত’ সূত্রে খবর, সে দেশের সাধারণ নাগরিকদের জন্য যে সবুজ রঙের পাসপোর্ট দেওয়া হয়, সেই পাসপোর্টই পেয়েছেন তিনি। বুধবার বাংলাদেশের অভিবাসন ও পাসপোর্ট দফতর থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ‘নয়া দিগন্ত’। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে মোট তিন ধরনের পাসপোর্ট হয়। সবুজ রঙের পাসপোর্ট সাধারণের ব্যবহারের জন্য। নীল রঙের পাসপোর্ট (অফিশিয়াল পাসপোর্ট) সরকারি পদস্থ আধিকারিকদের জন্য। এ ছাড়া রয়েছে লাল রঙের পাসপোর্ট (কূটনৈতিক পাসপোর্ট) যা সে দেশের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি কিংবা সাংসদরা ব্যবহার করেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন লাল পাসপোর্ট ব্যবহার করতেন খালেদা। ১৯৯১ সাল থেকে লাল পাসপোর্ট ব্যবহার করতেন তিনি। এরপর বিরোধী নেত্রী থাকাকালীনও তা-ই ছিল। কিন্তু ২০১৪ সালের বাংলাদেশ ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি খালেদা। ফলে ওই সময়েই তাঁর কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল হয়ে সাধারণ পাসপোর্ট হয়ে গিয়েছিল।
উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে দু’টি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন খালেদা। ১৭ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল তাঁর। ২০১৮ সাল থেকে জেলবন্দি ছিলেন তিনি। পরে ২০২০ সালের মার্চ থেকে শারীরিক কারণে তাঁকে শর্তসাপেক্ষে গৃহবন্দি করা হয়েছিল। এতদিন ধরে গুলশনের বাড়িতেই গৃহবন্দি ছিলেন তিনি।