Bangladesh Protest

দেশ জুড়ে কার্ফু জারি করল শেখ হাসিনার সরকার, বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা ফেরাতে নামছে সেনাবাহিনী

শুক্রবার রাতে কার্ফু জারির কথা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, দেশ জুড়ে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সেনাবাহিনী নামানোর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২৪ ০১:০৩
Agitation in Bangladesh

কোটা সংস্কারের আন্দোলনে উত্তপ্ত বাংলাদেশ। ছবি: রয়টার্স।

বাংলাদেশ জুড়ে জারি করা হল কার্ফু। শুক্রবার রাতে এ কথা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, দেশ জুড়ে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সেনাবাহিনী নামানোর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। সংবাদ সংস্থা এপি-কে তিনি বলেন, “স্থানীয় প্রশাসনকে সাহায্যের পাশাপাশি শান্তি ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সেনা নামানো হয়েছে।” শেখ হাসিনার সরকারের প্রেস সচিব নাইমুল ইসলাম খান সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে বলেন, “সরকার কার্ফু জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে।”

Advertisement

কোটা সংস্কারের আন্দোলন ক্রমশ তীব্রতর হচ্ছে বাংলাদেশে। হাসিনা সরকার আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিলেও তা খারিজ করে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদেরই এক জন সরওয়ার তুষার এএফপিকে বলেন, “আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। শেখ হাসিনার পদত্যাগ চাই।”

আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশ জুড়ে বন্ধ রাখা হয়েছে ট্রেন চলাচল। আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করেছে শেখ হাসিনার সরকার। বৃহস্পতিবার রাত থেকে বাংলাদেশে কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা। রাজধানী ঢাকা-সহ সে দেশের বিভিন্ন শহরে এই সমস্যা রয়েছে বলে সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে। ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন বাংলাদেশের ডাক, টেলি যোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। সরকারি সূত্রে এ-ও জানা গিয়েছে, গুজব ছড়ানো বন্ধ করতেই এই ব্যবস্থা। মিছিল, সমাবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। তাতেও আন্দোলন থামেনি। এমনকি আগুন লাগানো হয়েছে নরসিংডি জেলার একটি জেলেও।

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ দাবি করেছে, বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত সে দেশে আন্দোলনের জেরে সংঘাতের বলি ২৭ জন। তাঁদের মধ্যে ১৯ জনেরই মৃত্যু হয়েছে ঢাকায়। শুক্রবার আরও তিন জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকায়। তাঁদের মধ্য দু’জনের পরিচয় মিলেছে। তৃতীয় জনের পরিচয় জানা যায়নি। ওই সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশে মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের। অন্য দিকে, সে দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে পরিসংখ্যান সংগ্রহ করে সংবাদ সংস্থা এএফপি দাবি করেছে, বাংলাদেশে শুক্রবার রাত পর্যন্ত সরকার এবং পড়ুয়াদের সংঘাতের জেরে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন