Bangladesh Situation

প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমানো হোক! বাংলাদেশে হাসিনা পরবর্তী জমানায় সুপারিশ সংবিধান সংস্কার কমিটির

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে কিছু ক্ষমতা কমিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা কিছু ক্ষেত্রে বৃদ্ধি করারও সুপারিশ করা হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:৫৭
(বাঁ দিকে) শেখ হাসিনা। মুহাম্মদ ইউনূস (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) শেখ হাসিনা। মুহাম্মদ ইউনূস (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছে সংবিধান সংস্কার কমিটি। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর সে দেশে সংবিধান সংস্কারের জন্য একটি কমিটি গঠন করে মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ অনুসারে, ওই কমিটি চাইছে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে একচ্ছত্র ক্ষমতা কমিয়ে এনে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হোক। সংবিধান সংস্কার কমিটির মত, ক্ষমতায় ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। তবে কী ভাবে এই ভারসাম্য আনা হবে, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত বা আলোচনা শুরু হয়নি।

Advertisement

‘প্রথম আলো’র প্রতিবেদন বলছে, বিএনপি-সহ বাংলাদেশের অন্য সক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিও ক্ষমতার ভারসাম্যের বিষয়ে সহমত। বিভিন্ন কমিশনের সুপারিশগুলির বিষয়ে আগামী মাসে রাজনৈতিক দলগুলিকে নিয়ে আলোচনায় বসতে চাইছে অন্তর্বর্তী সরকার। কোন পথে ভারসাম্য আনা হবে, তা নিয়ে ওই বৈঠক থেকে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

কমিশন সূত্রে খবর, তারা চাইছে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি করে প্রধানমন্ত্রীর একচ্ছত্র ক্ষমতা কমিয়ে আনতে। বর্তমানে বাংলাদেশে যে নিয়ম রয়েছে, তাতে প্রধানমন্ত্রী এবং দেশের প্রধান বিচারপতির নিয়োগ ছাড়া বাকি সব ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ নিয়েই কাজ করতে হয় সেখানকার রাষ্ট্রপতিকে। এ ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন। কিছু সাংবিধানিক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ছাড়াই যাতে রাষ্ট্রপতি নিজে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, সে প্রস্তাবও রেখেছে কমিশন।

সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান আলি রিয়াজ় ‘প্রথম আলো’কে জানান, তাঁদের অন্যতম লক্ষ্য সংবিধানে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আনা। রাষ্ট্রপতির হাতে কী কী দায়িত্ব থাকবে, সে বিষয়ে কমিশনের বিস্তারিত প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে বলে জানান তিনি।

‘প্রথম আলো’ জানিয়েছে, দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণার ক্ষেত্রেও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমানোর সুপারিশ করেছে কমিশন। বর্তমানে রাষ্ট্রপতি সর্বাধিক ১২০ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারেন। কিন্তু তার আগে প্রধানমন্ত্রীর থেকে স্বাক্ষর নিতে হয়। নির্বাহী বিভাগ, আইনসভা এবং বিচার বিভাগকে নিয়ে একটি ‘জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল’ গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন। ওই কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই যাতে রাষ্ট্রপতি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারেন, সে প্রস্তাবও দিয়েছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। পাশাপাশি কোনও রাজনীতিক প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন দলের প্রধান এবং সংসদীয় দলের নেতা হতে পারবেন না বলেও সুপারিশ করা হয়েছে। কমিশন মনে করছে এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর একক ক্ষমতা কমানো যাবে।

Advertisement
আরও পড়ুন