(বাঁ দিক থেকে তৃতীয়) রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান কামরুল হাসানের সঙ্গে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির (ডান দিকে)। ছবি: এক্স।
সামরিক ক্ষেত্রে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের সম্পর্ক কোন দিকে এগোচ্ছে, তার উপর নজর রাখছে নয়াদিল্লি। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল শুক্রবার জানান, ভারতের আশপাশে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলিতে কী চলছে, তার উপর সব সময় নজর রাখা হয়। বিশেষ করে যে সব গতিবিধি ভারতের রাষ্ট্রীয় সুরক্ষার সঙ্গে সম্পর্কিত, সেগুলির উপর আরও বেশি নজর রাখা হয়। যদি কখনও এ বিষয়ে পদক্ষেপ করার প্রয়োজন হয়, তা-ও করা হবে।
বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতার বিতর্ক এবং পাকিস্তানের সঙ্গে সে দেশের সামরিক সম্পর্কের বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রকে। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের চার সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের সামরিক প্রতিনিধি দল তিন দিনের সফরে গত মঙ্গলবার বাংলাদেশে যান। পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর ডিরেক্টর জেনারেল অফ অ্যানালিসিস মেজর জেনারেল শাহিদ আমির আফসারও বাংলাদেশ সফরে গিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। এই বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন করা হয় জয়সওয়ালকে। জবাবে তিনি সরাসরি কোনও দেশের নামোল্লেখ না-করে বুঝিয়ে দেন, পড়শি দেশের পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে এবং প্রয়োজন হলে পদক্ষেপও করা হবে।
তবে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়, তা-ও জানিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র। তিনি বলেন, “আমরা এক গণতান্ত্রিক এবং প্রগতিশীল বাংলাদেশের পাশে থাকতে চাই। আমরা আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে চাই, যাতে ভারত এবং বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের উপকার হতে পারে।”
বস্তুত, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক, বাণিজ্যিক এবং সামরিক সুসম্পর্ক তৈরির দিকে জোর দিয়েছে ঢাকা। কিছু দিন আগেই পাকিস্তান সফর সেরে এসেছে বাংলাদেশের সেনাকর্তাদের একটি প্রতিনিধিদল। ১৩ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি লেফটেন্যান্ট জেনারেল কামরুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ সেনাকর্তা পাকিস্তান সফরে গিয়েছিলেন। বাংলাদেশের সেনাকর্তারা পাকিস্তান থেকে ফেরার পর পরই ইসলামবাদ থেকে এক উচ্চপর্যায়ের সামরিক প্রতিনিধিদল ঢাকায় গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। এ নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য না করলেও পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে দিল্লির সাউথ ব্লক।