Bangladesh Chhatra League

ছাত্রলীগ ‘সন্ত্রাসবাদী’! হাসিনার দলের ছাত্রশাখাকে নিষিদ্ধ করল বাংলাদেশের ইউনূস সরকার

সংবিধান বাতিল, রাষ্ট্রপতি চুপ্পুর পদত্যাগ, আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠনকে জঙ্গি তকমা দিয়ে নিষিদ্ধ করা-সহ ৫ দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মঙ্গলবার দুপুর থেকে নতুন করে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেছে ঢাকায়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ২২:৩৮
(বাঁ দিকে) শেখ হাসিনা এবং মুহাম্মদ ইউনূস (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) শেখ হাসিনা এবং মুহাম্মদ ইউনূস (ডান দিকে)। —ফাইল ছবি।

নতুন করে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ শুরু হতেই তাদের দাবি মেনে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের ছাত্রশাখা ছাত্রলীগকে ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষণা করল মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এ কথা জানানো হয়েছে। লিখিত বিবৃতিতে একই কথা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর দফতরের সিনিয়র সচিব মহম্মদ আবদুল মোমেনও।

Advertisement

সংবিধান বাতিল, রাষ্ট্রপতি চুপ্পুর পদত্যাগ, আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠনকে জঙ্গি তকমা দিয়ে নিষিদ্ধ করা-সহ ৫ দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মঙ্গলবার দুপুর থেকে নতুন করে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেছে ঢাকায়। সেই সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবন-এর বাইরে অবস্থান ঘিরে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের একাংশের সংঘর্ষও হয়। এর পরে বুধবার আন্দোলনকারীরা ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার জন্য বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল। তার আগেই সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল ইউনূস সরকার।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহ্যবাহী ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ইউনূস সরকারে জানিয়েছে, ‘সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯’ অনুযায়ী এই পদক্ষেপ। ওই আইনের তফসিল-২–এ ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’ নামের ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ তালিভুক্ত করার কথাও বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা–পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে, বিশেষ করে বিগত ‘১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনে’ (হাসিনার প্রধানমন্ত্রিত্বের সময়) আওয়ামী লীগের শাখা সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হত্যা, নির্যাতন, গণরুমকেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন-সহ নানা জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল।

অন্তর্বর্তী সরকারের দাবি, এ সম্পর্কে প্রামাণ্য তথ্য দেশের সব প্রধান গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং কিছু সন্ত্রাসবাদী ঘটনায় সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের অপরাধ আদালতেও প্রমাণিত হয়েছে। এ ছাড়া, গত ১৫ জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ মানুষের উপর ‘উন্মত্ত ও বেপরোয়া সশস্ত্র আক্রমণ’ চালিয়ে শত শত নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিকে হত্যা করেছেন বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। দাবি করা হয়েছে, সরকারের কাছে এ বিষয়ে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। এমনকি গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পরও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে দাবি অন্তর্বর্তী সরকারের।

আরও পড়ুন
Advertisement