গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
ভারতকে ‘ব্যান্ডউইথ ট্রানজিট’ সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের পর এ বার সরাসরি সুর চড়াল বাংলাদেশ। মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল শনিবার বলেন, ‘‘ভারতকে বুঝতে হবে, বাংলাদেশের মানুষ আর নতজানু নীতি মেনে নেবে না, আমরা সমঅধিকার এবং সমমর্যাদার ভিত্তিতে বন্ধুত্ব চাই।’’
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ ঘিরে ইতিমধ্যেই নয়াদিল্লি-ঢাকা সম্পর্কে টানাপড়েন তৈরি হয়েছে। আগরতলায় ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে সীমান্তের দু’পার থেকেই। আগরতলায় বাংলাদেশের উপ-দূতাবাসে হামলার প্রেক্ষিতে পরিষেবা বন্ধ করেছে ইউনূস সরকার। এই আবহে মঙ্গলবার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য ঢাকায় সর্বদল বৈঠক করেন ইউনূস-সহ অন্তর্বর্তী সরকারের পদাধিকারিরা। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি এবং তাদের মিত্র দলগুলি ছাড়া অন্য সমস্ত রাজনৈতিক দলকে ওই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয় বলে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ জানিয়েছে। তিন দিন ধরে চলে ওই বৈঠক।
ইউনূসের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, সর্বদল বৈঠকে গৃহীত প্রস্তাব অনুযায়ী তারা নয়াদিল্লিকে দু’টি বার্তা দিতে চান— প্রথমত, দেশের সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদার প্রশ্নে অন্তর্বর্তী সরকার আপসহীন। দ্বিতীয়ত, ফ্যাসিবাদ (আদতে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের সরকার) হটাতে গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া সব পক্ষ এখন ঐক্যবদ্ধ। তারা ‘পতিত ফ্যাসিবাদ’ (আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী শক্তি)-এর পুনরুত্থান যে কোনও মূল্যে ঠেকাবেন। বাংলাদেশের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক তথা ইউনূস সরকার গঠিত ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’-এর সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেন, ‘‘গত ১৪ বছর ধরে ভারত আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে নিরাপত্তা দিয়ে বাংলাদেশকে শুষে খেয়েছে। তা আর হতে দেওয়া যাবে না।’’