US Navy Ships in Taiwan Strait

ট্রাম্পের নির্দেশে তাইওয়ান প্রণালীতে আমেরিকার রণতরী ঢুকে পড়ল! পাল্টা হুঁশিয়ারি দিল চিন

চিনের হুঁশিয়ারি উড়িয়ে তাইওয়ান প্রণালীতে যুদ্ধজাহাজ পাঠালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে এই প্রথম বার তাইওয়ান প্রণালীতে ঢুকল আমেরিকার যুদ্ধজাহাজ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৬:০০
Amid strong response from China, two US Navy ships transit Taiwan strait

তাইওয়ান প্রণালীতে আমেরিকার যুদ্ধজাহাজ। ছবি: রয়টার্স।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়ই তাইওয়ানের সুরক্ষা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয় বার হোয়াইট হাউসে প্রবেশের তিন সপ্তাহের মাথায় চিনের আপত্তি উড়িয়ে তাইওয়ান প্রণালীতে দু’টি যুদ্ধজাহাজ পাঠালেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

Advertisement

আমেরিকার সপ্তম নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত দু’টি যুদ্ধজাহাজ মঙ্গলবার তাইওয়ান প্রণালীতে ঢুকেছে বলে আমেরকার নৌবাহিনী সূত্রের খবর। তবে স্থায়ী ভাবে সে দু’টি তাইওয়ান প্রণালীতে মোতায়েন করা হচ্ছে না। আর্লে বার্ক শ্রেণির গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস রালফ জনসন এবং পাথফাইন্ডার শ্রেণির সমীক্ষক জাহাজ ইউএসএনএস বাউডিচ উত্তর থেকে দক্ষিণ অভিমুখে প্রণালী পার হবে বলে পেন্টাগন জানিয়েছে। পুরো বিষয়টিকে ‘রুটিন প্রক্রিয়া’ বলেও দাবি করা হয়েছে।

যদিও ওয়াশিংটনের ওই যুক্তি মানতে নারাজ চিন। শি জিনপিং সরকারের অভিযোগ, এর ফলে ওই অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়বে। প্রসঙ্গত, তিন বছর আগে চিন-তাইওয়ান সংঘাতের আবহে ওই প্রণালীতে আমেরিকার নৌবাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ক্রুজার ইউএসএস অ্যান্টিয়েটাম এবং ইউএসএস চ্যান্সেলরসভিল ঢুকেছিল। তাইওয়ান প্রণালীর অদূরে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস রোনাল্ড রেগন, ডেস্ট্রয়ার গোত্রের রণতরী ইউএসএস হিগিন্‌স এবং দ্রুত সেনা অবতরণের উপযোগী রণতরী ইউএসএস ত্রিপোলিকেও মোতায়েন করেছিল পেন্টাগন।

পরবর্তী সময় তাইওয়ান প্রণালীতে মার্কিন নৌসেনার গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্রবাহী বার্ক শ্রেণির ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ফ্রিগেট ইউএস চুং হুনের উপস্থিতি ঘিরেও ওয়াশিংটন-বেজিং তরজা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের অগস্টে চিনের আপত্তি খারিজ করে আমেরিকার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পরেই নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়। সে সময় ধারাবাহিক ভাবে তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করতে শুরু করে চিনা যুদ্ধবিমান। চিন-তাইওয়ান সঙ্কটের আবহে সে সময় আমেরিকার সপ্তম নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ তাইওয়ান প্রণালীতে ঢুকেছিল।

এর পর সাময়িক ভাবে উত্তেজনা প্রশমনের উদ্দেশ্যে দু’পক্ষ কিছুটা নমনীয় হলেও গত বছর তাইওয়ানের সাধারণ নির্বাচনে কট্টর চিন-বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি)-র জয়ের পর নতুন করে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে। বুধবার ‘দ্বীপরাষ্ট্র’ তাইওয়ানের সরকার অভিযোগ তুলেছে, তাদের ঘিরে মঙ্গলবার থেকে চিনা ফৌজের ৩৯টি যুদ্ধবিমান এবং পাঁচটি জাহাজ টহল দিয়েছে!

Advertisement
আরও পড়ুন