Israel-Hamas Conflict

এ বার গাজ়া সীমান্তে ইজ়রায়েলি বসতির উপর বোমবর্ষণ করল নেতানিয়াহুর সেনা! কী কারণে?

ইজ়রায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইজ়রায়েল কাৎজ় বুধবার জানিয়েছেন, বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া প্যালেস্টাইনিদের জন্য কোনও আন্তর্জাতিক মানবিক সাহায্য পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হবে না।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:০৮
Amid military operations, IDF fighter jet bombs Israeli community along Gaza border

ইহুদি জনবসতির উপরেই বোমাবর্ষণ ইজ়রায়েলি সেনার। ছবি: সংগৃহীত।

গাজ়া সীমান্তে এ বার ‘সেমসাইড’ করল ইজ়রায়েলি বিমানবাহিনী। প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে হামলা চালাতে গিয়ে ইজ়রায়েলি যুদ্ধবিমান ইহুদি জনবসতির উপরেই বোমাবর্ষণ করল!

Advertisement

বুধবার সকালের ওই ঘটনার পরেই অবশ্য সাফাই দিয়েছে ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ফৌজ (আইডিএফ)। তাদের যুক্তি, প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণেই গাজ়া সীমান্তের দু’কিলোমিটার দূরে ইতজ়াকের কাছে ইজ়রায়েলি ভূখণ্ডের উপর যুদ্ধবিমান থেকে কয়েকটি বোমা পড়ে গিয়েছে! ঘটনাচক্রে, নেতানিয়াহুর গাজ়া সফরের দিনেই ঘটেছে এই বিপত্তি। অন্য দিকে, ইজ়রায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইজ়রায়েল কাৎজ় বুধবার জানিয়েছেন, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া প্যালেস্টাইনিদের জন্য কোনও আন্তর্জাতিক মানবিক সাহায্য পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হবে না। কাৎজ় বলেন, ‘‘হামাসের উপর চাপ বাড়াতেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’

তবে সেই সঙ্গেই গাজ়ায় মোতায়েন সেনার গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের বার্তা দিয়েছেন ইজ়রায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পরেই গাজ়ায় হানা দিয়েছিল ইজ়রায়েলি সেনা। প্রথমে বন্দুকের নলের সামনে রেখে উত্তর গাজ়া ফাঁকা করানো হয়। এর পরে স্থল অভিযানে মধ্য ভূখণ্ডও গ্রাস করে তারা। ঘরবাড়ি, হাসপাতাল, ধূলিসাৎ করে দেয়। এর পর টানা হামলা চলেছে দক্ষিণে, খান ইউনিসে। এ বার ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর নিশানা গাজ়া ভূখণ্ডের একেবারে দক্ষিণ প্রান্ত রাফা। সেখান থেকে প্যালেস্টাইনিদের সরে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। সেখানে সেনা অভিযান শুরু হলে বহু প্যালেস্টাইনির হতাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে চলতি সপ্তাহে গাজ়ায় যুদ্ধবিরতির জন্য নতুন প্রস্তাব এসেছে ইজ়রায়েলের তরফে। ওই প্রস্তাব অনুযায়ী, হামাস যদি ১০ পণবন্দি ইজ়রায়েলিকে মুক্তি দেয়, তবে বিনিময়ে কয়েকশো প্যালেস্টাইনি বন্দিকে মুক্তি দেবে তেল আভিভ। পাশাপাশি, আগামী ৪৫ দিনের জন্য গাজ়ায় হামলা বন্ধ করা হবে। মঙ্গলবার হামাস জানিয়েছে, তারা তেল আভিভের প্রস্তাব বিবেচনা করছে। হামাসের এক কমান্ডার জানান, ইজ়রায়েলের শর্ত অনুযায়ী যুদ্ধবিরতির প্রথম দিন মার্কিন-ইজ়রায়েলি নাগরিক ইদান আলেকজান্ডারকে ‘আমেরিকার প্রতি বিশেষ সম্মান জানিয়ে’ মুক্তি দেওয়া হবে।

এর পর আরও ন’জন ইজ়রায়েলি পণবন্দি দু’ধাপে মুক্তি পাবেন। বিনিময়ে যাবজ্জীবন জেলের সাজাপ্রাপ্ত ১২০ জন প্যালেস্টাইনি বন্দি ও ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে কোনও অভিযোগ ছাড়া আটক ১১০০-র বেশি প্যালেস্টাইনি মুক্তি পেতে পারেন। প্রসঙ্গত, কাতারের মধ্যস্থতায় এবং আমেরিকা ও মিশরের প্রচেষ্টায় গত ১৫ জানুয়ারি রাতে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় ইজ়রায়েল সরকার এবং হামাস। ১৯ জানুয়ারি থেকে তা কার্যকর হয়েছিল। কিন্তু মার্চের গোড়ায় একতরফা ভাবে যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজ়ায় আবার হামলা শুরু করেছে ইজরায়েলি সেনা। যুদ্ধবিরতির নয়া প্রস্তাব দেওয়ার পরেও ছেদ পড়েনি হামলায়।

Advertisement
আরও পড়ুন