US Presidential Election 2024

‘প্রেসিডেন্ট ভোটে জিতলে পরের দিন থেকেই অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কার শুরু করব’! বললেন ট্রাম্প

প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ট্রাম্পের অভিবাসন বিরোধী পদক্ষেপ এবং মেক্সিকো সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বেড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘিরে বিতর্ক হয়েছে বারে বারেই। কিন্তু পূর্বঘোষিত অবস্থান থেকে একটুও সরেননি তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৪ ২৩:১০
ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।

ভোটের প্রচারে অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে কড়া অবস্থানের কথা জানালেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। পেনসিলভানিয়ার ফিলাডেলফিয়ায় সোমবার নির্বাচনী সভায় রিপাবলিকান প্রার্থীর ঘোষণা, ‘‘আমি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতলে পরের দিন থেকেই অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর কাজ শুরু হবে।’’

Advertisement

প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ট্রাম্পের অভিবাসন বিরোধী পদক্ষেপ এবং মেক্সিকো সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বেড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘিরে বিতর্ক হয়েছে বারে বারেই। কিন্তু পূর্বঘোষিত অবস্থান থেকে একটুও সরেননি তিনি। গত সপ্তাহে অ্যারিজ়োনায় নির্বাচনী জনসভায় অবৈধ অভিবাসীদের আবর্জনার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন তিনি। তার আগে মিশিগানে নির্বাচনী প্রচারের সূচনা করতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘‘৫ নভেম্বর প্রত্যেক ভোটারকে নিজেদের পছন্দ স্পষ্ট করতে হবে। তাঁদের কাছে দু’টি বিকল্প থাকবে। এক, হাজার হাজার উগ্র ইসলামী সন্ত্রাসবাদীকে সমর্থন করে দেশে ঢোকাবেন না কি, তাদের দেশ থেকে বার করে দেবেন। তবে ক্ষমতায় এলে প্রশাসনের প্রথম দিনে আমেরিকার ইতিহাসের সব চেয়ে বড় ফেরত (অবৈধ অভিবাসীদের) অভিযান চালাব। এটা আমি নিশ্চিত করে বলছি।’’

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কমলা হ্যারিসের বিরুদ্ধে সোমবার অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে নরম অবস্থান নেওয়ারও অভিযোগ তোলেন ট্রাম্প। বলেন, ‘‘ওঁরা আমাদের দেশটাকে ধ্বংস করেছেন। আমরা আর এটা মেনে নেব না, কমলা।’’ প্রসঙ্গত, আগামী ৫ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিন হলেও প্রথা মেনে আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে ব্যালট সংগ্রহ করে আগাম ভোটপর্ব। গত দু’মাসে প্রকাশিত অধিকাংশ জনমত সমীক্ষায় রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্প তাঁর ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসের চেয়ে পিছিয়ে ছিলেন। কিন্তু শেষবেলায় বিভিন্ন সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, দু’জনের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ চাকরিজীবী আমেরিকার ভোটারদের নজরে রেখেই ট্রাম্প অভিবাসন নিয়ে সুর চড়িয়েছেন বলে অনেকের ধারণা।

আরও পড়ুন
Advertisement