প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
শুধুমাত্র আত্মরক্ষায় ব্যবহৃত অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম নয়, এ বার সৌদি আরবকে আক্রমণাত্মক অস্ত্র বিক্রি করার ছাড় দিচ্ছে ওয়াশিংটন। শীঘ্রই এ সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে বলে শনিবার আমেরিকার বিদেশ দফতর জানিয়েছে।
দফতরের এক কর্মকর্তা জানান, আকাশ থেকে ভূমিতে হামলা চালানোর মতো কিছু ক্ষেপণাস্ত্র সৌদিতে বিক্রি সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। সংশোধিত অস্ত্র হস্তান্তর নীতি অনুসরণ করে ধাপে ধাপে সৌদির কাছে ওই ক্ষেপণাস্ত্র হস্তান্তর করা হবে। সম্প্রতি হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার খুনের পরে ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে হামলার হুমকি দিয়েছে ইরান। ফলে পশ্চিম এশিয়ায় নতুন করে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে জো বাইডেন সরকারের সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ইয়েমেন সরকারকে ইরানের মদতপুষ্ট হুথি বিদ্রোহী বাহিনীর হামলা থেকে রক্ষা করতে সৌদি আরবের সেনা আমেরিকার দেওয়া ‘আক্রমণাত্মক অস্ত্র’ ব্যবহার করেছিল বলে অভিযোগ। তার ফলে শিয়া জনগোষ্ঠীর কয়েক হাজার সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছিলেন। এর পরেই সৌদির বিরুদ্ধে ২০২১ সালে ওই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করেছিল বাইডেন সরকার।
২০২২ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জের মধ্যস্থতায় হুথিদের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি সইয়ের পরে ইয়েমেনের মাটিতে কোনও হামলা চালায়নি সৌদি। তারই প্রেক্ষিতে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বলে আমেরিকার বিদেশ দফতরের দাবি। প্রসঙ্গত, আপাতদৃষ্টিতে কয়েকটি ব্যতিক্রম ছাড়া পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে সুসম্পর্কই বজায় রেখে চলে আমেরিকা। সেখানকার তেলের খনিগুলিতে আমেরিকার ‘আধিপত্য’ও কারও অজানা নয়। কিন্তু সম্প্রতি পশ্চিম এশিয়া কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে চিন। যা নিয়ে আমেরিকার উপর চাপ বেড়েছে।