Bangladesh Unrest

উত্তরণের দিশা সন্ধান ঢাকার রবীন্দ্র সম্মেলনে

অর্ধসহস্রের বেশি শিল্পী, সংস্কৃতিকর্মী ও সংগঠকের অংশগ্রহণে তিন দিনের ‘জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মেলন’ হয়ে গেল বাংলাদেশে।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:৪৩
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। —ফাইল চিত্র।

সঙ্কটের দিনে মুক্তির পথের খোঁজে রবীন্দ্র মানসকে আরও এক বার ফিরে দেখা— জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের ৪৩ তম সম্মেলনকে এক কথায এ ভাবেই বর্ণনা করলেন একের পর এক সংস্কৃতি কর্মী। অর্ধসহস্রের বেশি শিল্পী, সংস্কৃতিকর্মী ও সংগঠকের অংশগ্রহণে তিন দিনের ‘জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মেলন’ হয়ে গেল বাংলাদেশে। ঢাকায় ধানমন্ডির ‘ছায়ানট সংস্কৃতি ভবন’ মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার উদ্বোধন করেছিলেন শিল্পী ফাহমিদা খাতুন। ‘এই কথাটা ধরে রাখিস মুক্তি তোরে পেতেই হবে’ প্রতিপাদ্যে তিন দিনের সান্ধ্য অধিবেশনে পরিবেশিত হয় গুণীজনের সুবচন রবিরশ্মি, গীতিআলেখ্য, আবৃত্তি, পাঠ, নৃত্য ও গান। প্রকাশ করা হয় রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টির নানা দিক নিয়ে বিশিষ্ট জনেদের প্রবন্ধের সংকলন বার্ষিক ‘সঙ্গীত সংস্কৃতি’।

Advertisement

সম্মেলনের শেষ দিনে ‘রবীন্দ্রপদক’-এ ভূষিত করা হয় প্রয়াত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ারকে। শিল্পীর পরিবারের পক্ষ থেকে ‘পাপিয়া সারোয়ার ট্রাস্ট’ গঠনের প্রস্তাব দেয়া হয় পরিষদের কাছে। এ জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ দেওয়ারও ঘোষণা করা হয়।
অনুষ্ঠানের ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, ‘আমরা জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ আগের তিনটি ঘোষণায় সর্বগ্রাসী লোভের বিস্তারের ফলে সামাজিক অবক্ষয় এবং ধর্মের উগ্রবাদী ব্যাখ্যার সামাজিক-সাংস্কৃতিক অভিঘাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলাম। বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতির সামাজিক-সাংস্কৃতিক অভিঘাত সম্পূর্ণ স্পষ্ট নয়। তবে উল্লিখিত নেতিবাচক প্রবণতাসমূহ প্রভাবশালী মহলের দ্বারা পরিপুষ্ট হওয়ার বিভিন্ন ইঙ্গিত লক্ষ্য করে আমরা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত।’

বলা হয়েছে, ‘এই শঙ্কায় যুক্ত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন, জাতিসত্তা ও ধর্মনিরপেক্ষতা বিষয়ে অনভিপ্রেত কৌশলী প্রস্তাবনা। আমাদের প্রত্যাশা, মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত আবহমান বাঙালি সংস্কৃতি ও মুক্তচিন্তার নির্বিঘ্ন পথযাত্রা নিশ্চিত হবে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায়।’

Advertisement
আরও পড়ুন