১ বছরে বিড়ালটির শারীরিক বৃদ্ধি হয়েছে চোখে পড়ার মতো। ছবি: সংগৃহীত।
বয়স খুব বেশি নয়, মাত্র ১ বছর। তবে তাকে দেখলে বয়স আন্দাজ করার উপায় নেই। লোমশ লেজ দুলিয়ে সে যখন হেঁটে বেড়ায়, এক ঝলক দেখলে কুকুর বলে ভুল করে ফেলেন অনেকে। তবে মারফি কুকুর নয়। বিড়াল। ‘মেনে কুন’ প্রজাতির এই বিড়ালকে নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়।
ব্রিটেনের ওরচেস্টারশায়ার শহরে থাকেন ৪৬ বছর বয়সি সরিতা ব্রেউইন। তিনি মারফির পালক মাতা। গত নভেম্বরে তিনি এই বিড়ালটিকে কিনে এনেছিলেন। তার বয়স এখন ১ বছর। এই ১ বছরে বিড়ালটির শারীরিক বৃদ্ধি হয়েছে চোখে পড়ার মতো।
সরিতা জানিয়েছেন, বিড়ালটিকে তিনি যখন বাড়িতে এনেছিলেন, তখন তার বয়স ছিল ১৩ থেকে ১৪ সপ্তাহ। আর পাঁচটি বিড়ালছানার মতোই ছোট্ট ছিল মারফি। তখন সাধারণ একটি বিড়ালের থেকে তাঁকে আলাদা করা যেত না। এই কয়েক মাসে মারফি তরতরিয়ে বেড়ে উঠেছে। বর্তমানে সে ১০৪ সেন্টিমিটার লম্বা। তার ওজন ১১ কিলোগ্রাম।
‘মেনে কুন’ প্রজাতির বিড়াল সাধারণত বড় আকারের হয়। ৩ বছর পর্যন্ত তাদের দৈহিক বৃদ্ধির মেয়াদ। ফলে মারফি আরও বড় হবে বলেই আশাবাদী তার পরিবার।
মারফির জন্য প্রচুর অর্থও খরচ করতে হয় সরিতাদের। মাসে প্রায় ৬ হাজার টাকার শুকনো খাবার কিনতে হয় শুধু এই পোষ্য বিড়ালের জন্য।
যে কোনও সাধারণ কুকুরের সমান উচ্চতায় ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে মারফি। তাকে দেখলে কুকুররাও ভয় পেয়ে যায়। বাড়িতে মাঝেমধ্যেই মারফি নানা রকম কেলেঙ্কারি করে ফেলে।
সরিতা জানিয়েছেন, গত বছর বড়দিনের উৎসবে ঘর সাজানোর জন্য এনে রাখা লাইট কুড়মুড়িয়ে চিবিয়ে ফেলেছিল মারফি। পরিবারে অনেক টাকার ক্ষতি হয়েছিল তার জন্য। তাই এ বারের বড়দিনের উৎসবে ঘর সাজানোর উপকরণ আর কিনে আনার ঝুঁকি নেননি বাড়ির কেউ।
তবে মারফি অবশ্য পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা বিড়াল নয়। সেই রেকর্ড এখন আমেরিকার একটি বিড়ালের দখলে। তার নাম স্টেউয়ি। সে ১২১ সেন্টিমিটার লম্বা। মারফি ভবিষ্যতে আরও লম্বা হবে, আশা করছেন পালক মাতা সরিতা।