শরণার্থীদের মধ্যে মহিলা এবং শিশু মিলিয়ে ১২০ জন এবং ৪০ জন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ রয়েছেন বলে আরএইচআরআই সূত্রে খবর। ছবি: সংগৃহীত।
বাংলাদেশের ক্যাম্প থেকে পালিয়ে নৌকায় করে যাওয়ার সময় আন্দামান সাগরের জলে নিখোঁজ ১৬০ রোহিঙ্গা শরণার্থী। তাঁরা যে নৌকায় যাচ্ছিলেন, তার ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ার কারণেই এমনটা ঘটেছে বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে।
শরণার্থীদের মধ্যে এক জন ‘হিউম্যান রাইটস ইনিশিয়েটিভ (আরএইচআরআই)’ এর সঙ্গে যোগাযোগ করে মাঝসমুদ্রে নিজেদের অবস্থান জানাতে সক্ষম হয়েছিলেন। সেই অবস্থান দেখে বোঝা গিয়েছে যে, জাহাজটি আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ইন্দোনেশিয়ার আচেহের দিকে চলে যাচ্ছে। শরণার্থীদের মধ্যে মহিলা এবং শিশু মিলিয়ে ১২০ জন এবং ৪০ জন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ রয়েছেন বলে আরএইচআরআই সূত্রে খবর।
আরএইচআরআই-এর ডিরেক্টর সাব্বের কিয়াও মিন সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘‘বুধবার আমাদের সঙ্গে ওদের শেষ বার যোগাযোগ হয়েছিল। আমাদের কাছে আর ওদের বিষয়ে কোনও খবর নেই। আমরা সমুদ্রের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত সংস্থাকে ওই শরণার্থীদের দেখতে পেলে সাহায্য করার জন্য আবেদন জানিয়েছি।’’
তবে ইউনিফাইড আন্দামান ও নিকোবর কমান্ডের মুখপাত্র জানিয়েছেন যে, তাঁদের কাছে কোনও তথ্য নেই।
আরএইচআরআই-এর দেওয়া অবস্থান থেকে মনে হচ্ছে, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নৌকাটি ভারতীয় জলসীমার বাইরে রয়েছে।
বাংলাদেশের কক্সবাজারের উখিয়ার বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবির কুতুপালং এবং কাছাকাছি আরেকটি ঘনবসতিপূর্ণ শরণার্থী শিবির বালুখালী থেকে এই নিখোঁজ রোহিঙ্গা শরণার্থীরা পালিয়ে এসেছেন।
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি পিটিআই-কে বলেন, ‘‘কিছু সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন দেখলাম। কিন্তু আমি এমন কোনও ঘটনার বিষয়ে অবগত নই।’’
প্রসঙ্গত, শুধু মাত্র চলতি বছরে পালিয়ে যাওয়ার সময় ১১৯ জন শরণার্থীর মৃত্যু বা নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। বেশির ভাগ শরণার্থীই ক্যাম্পগুলি থেকে পালিয়ে মালয়েশিয়া, তাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়ার দিকে রওনা হয়েছিলেন।