Cyclone Mocha

মোকার ছোবল থেকে কী ভাবে বেঁচে গেল বাংলা? কেন ঘুরে গেল ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ?

মোকা মারাত্মক প্রবল ঘূ্র্ণিঝড় হয়ে আছড়ে পড়েছে মায়ানমারের সিতওয়াতে। পশ্চিমবঙ্গে এর তেমন প্রভাব পড়েনি। উপকূলের ধারকাছেও ঘেঁষেনি মোকা। কেন? সেই কারণ স্পষ্ট করে দিয়েছে মৌসম ভবন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০২৩ ১৯:২০
image of cyclone

মৌসম ভবন জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের বিপরীতমুখী বেগ বা ‘অ্যান্টিসাইক্লোনিক সার্কুলেশন’-ই মোকার জন্য বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছবি: প্রতীকী

বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে ক্রমেই বাংলাদেশ, মায়ানমারের দিকে এগিয়েছে ঘূর্ণিঝড় মোকা। তার পর মারাত্মক প্রবল ঘূ্র্ণিঝড় হয়ে আছড়ে পড়েছে মায়ানমারের সিতওয়াতে। পশ্চিমবঙ্গে এর তেমন প্রভাব পড়েনি। তার ধারকাছেও ঘেঁষেনি মোকা। কিন্তু কেন? সেই কারণ স্পষ্ট করে দিয়েছে মৌসম ভবন। জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের বিপরীতমুখী বেগ বা ‘অ্যান্টিসাইক্লোনিক সার্কুলেশন’-ই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Advertisement

মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পশ্চিম অংশে অবস্থান করছিল ঘূর্ণিঝড়ের বিপরীতমুখী বেগ বা ‘অ্যান্টিসাইক্লোনিক সার্কুলেশন’। এই বেগই ঘূর্ণিঝড়কে পশ্চিমে অগ্রসর হতে বাধা দিয়েছে। সে কারণে ঘূর্ণিঝড় মোকা বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে ক্রমে অগ্রসর হয়েছে উত্তর এবং উত্তর-পূ্র্বে। আর তাই পশ্চিমবঙ্গে এর তেমন প্রভাব পড়েনি। কেবল মৎস্যজীবীদের সোমবার পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে।

মায়ানমার সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, রবিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ সিতওয়াতে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় মোকা। মৌসম ভবন জানিয়েছে, রবিবার দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট থেকে ২টো ৩০ মিনিট পর্যন্ত মায়ানমার উপকূলে তাণ্ডব চালিয়েছে মোকা। সে সময় ঝড়ের বেগ ছিল ঘণ্টায় ১৮০ থেকে ১৯০ কিলোমিটার। ঝড়ের সর্বোচ্চ বেগ ছিল ঘণ্টায় ২১০ কিলোমিটার। মায়ানমারে একটি টেলিকম টাওয়ার ভেঙে পড়েছে। প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে ভেঙে পড়েছে বহু বাড়ি। চারদিকে লন্ডভন্ড অবস্থা। সিতওয়া এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবের প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। বিশেষত, কক্সবাজারে ৫ লক্ষেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। বাংলাদেশেও প্রবল জোরে হাওয়া বইছে। ঝড়ের সঙ্গে হচ্ছে বৃষ্টি। কক্সবাজারে রাস্তাঘাট জনশূন্য।

Advertisement
আরও পড়ুন