Partha Chatterjee-Arpita Mukherjee

অপাকাণ্ডের ‘টাকার পাহাড়’ এখন কোথায়? রাত জেগে গোনা ২০০০-এর গোলাপি নোটও কি তামাদি এখন?

গত জুলাইতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দু’টি ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা নগদে উদ্ধার করে ইডি। উদ্ধার হয় প্রচুর টাকার গয়না আর বিদেশি মুদ্রাও।

Advertisement
উজ্জ্বল চক্রবর্তী
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০২৩ ০৮:০১
Where is the money recovered from the flat of Arpita Mukherjee now

অর্পিতা মুখোপাধ্যায় এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

এক বছর আগে টাকার পাহাড় দেখে নড়েচড়ে বসেছিল গোটা বাংলা। চমকিত হয়েছিল বাঙালি! এক বঙ্গললনার দু’টি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল নগদে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। যিনি রাজ্যের ওজনদার মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’।

অর্পিতা মুখোপাধ্যায় নামে ওই মহিলার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধারের পর ২,০০০ এবং ৫০০ টাকার সেই সব নোট মেশিনে গুনে, ট্রাঙ্কের পর ট্রাঙ্কে ভরে নিয়ে গিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এখন কোথায় আছে সেই বিপুল নগদ টাকা? ঘটনাচক্রে, অগস্ট মাসের মধ্যে বাজারচলতি ২,০০০ টাকার সব নোট ব্যাঙ্কে জমা করার নির্দেশ দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার-হওয়া দু’হাজারি গোলাপি নোটের তা হলে কী ভবিষ্যৎ?

Advertisement

গত বছরের ২২ জুলাই টালিগঞ্জের ‘ডায়মন্ড সিটি’ আবাসনে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে নগদ ২১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে ইডি। একই সঙ্গে উদ্ধার হয় প্রচুর বিদেশি মুদ্রা এবং সোনার গয়নাও। এর পরে ২৭ জুলাই বেলঘরিয়ার ‘ক্লাব টাউন হাইট্‌স’ আবাসনে অর্পিতার নামে থাকা দু’টি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে মোট ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা নগদে উদ্ধার করে ইডি। সঙ্গে প্রচুর টাকার গয়না। ইডির দাবি, অর্পিতার দু’টি ফ্ল্যাট থেকে নগদে মোট ৪৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং ৫ কোটি ৮ লাখ টাকার গয়না উদ্ধার হয়েছিল। সঙ্গে সাতটি ভিন্‌দেশের মুদ্রাও। ইডি সূত্রেই জানা গিয়েছে, গত এক বছর ধরে ওই টাকার পাহাড় গুনে-গেঁথে-গুছিয়ে রাখা আছে কলকাতার অফিসপাড়ায়। রাখা আছে রাষ্ট্রায়ত্ত একটি ব্যাঙ্কের ভল্টে। সোনার গয়না, বিদেশি মুদ্রাও রয়েছে সেখানেই। আর সেই সংক্রান্ত নথিপত্র রয়েছে এই মামলার নির্দিষ্ট তদন্তকারী আধিকারিকের হেফাজতে।

চার্জশিটে ইডির দাবি, পার্থ-অর্পিতার নগদ টাকা, গয়না-সহ প্রায় ১০৩.১০ কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে। সে সবের ‘খতিয়ান’ জমা করা হয়েছে আদালতে। ইডি আধিকারিকদের দাবি, যত দিন মামলা চলবে, তত দিন ওই টাকা-গয়না ওই ভাবেই সযত্নে রাখা থাকবে। যেমন রাখা থাকবে অন্যান্য নথিপত্রও। কারণ, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই সব ‘খতিয়ান’ এক একটা ‘প্রমাণ’।

Where is the money recovered from the flat of Arpita Mukherjee now

অর্পিতার একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া ‘টাকার পাহাড়’। ২,০০০ এবং ৫০০ টাকার নোট ভর্তি। —ফাইল চিত্র।

তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, আইন অনুযায়ী অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া ওই টাকায় কোনও ভাবে হাত দেওয়া যাবে না। ফলে সেগুলি পাল্টানো বা বদলানোও সম্ভব নয়। তাই বিচারপ্রক্রিয়া শেষ না-হওয়া পর্যন্ত বা আদালত বিশেষ কোনও নির্দেশ না-দিলে ওই টাকার পাহাড়ের ২,০০০ টাকার নোটগুলি পাল্টানোর কোনও প্রশ্ন নেই। আপাতত গোলাপি নোট ব্যাঙ্কেই থাকবে ভল্টবন্দি হয়ে।

প্রাক্তন ইডি কর্তা অনুপ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘অভিযুক্তের হেফাজত থেকে যে সব জিনিস উদ্ধার হয়, আইনত প্রাথমিক ভাবে সেগুলি অভিযুক্তের সম্পত্তি বলেই বিবেচ্য হয়। তবে অভিযুক্ত যদি আদালতে উপযুক্ত নথি পেশ করে সেগুলির মালিকানা প্রমাণ করতে না পারেন, তা হলে মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার পর ওই নগদ টাকা-গয়না সরকারের সম্পত্তি বলে বিবেচিত হয়। পরে তা কেন্দ্রীয় সরকারের রাজকোষে জমা হয়।’’ ইডি যদি আদালতে প্রমাণ করতে না-পারে যে, অভিযুক্ত ওই অর্থ এবং সম্পত্তি বেআইনি পথে আয় করেছেন? অনুপ বলেন, ‘‘তবে সবটাই ফেরত দিয়ে দিতে হয়। আদালত বললে কখনও কখনও সুদ-সমেত।’’

প্রসঙ্গত, অর্পিতা ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন, তাঁর ফ্ল্যাট থেকে যে টাকা উদ্ধার করা হয়েছিল, তার সবটাই পার্থের। পার্থের আবার পাল্টা দাবি, ওই টাকা তাঁর নয়। ফলে এ ক্ষেত্রে সমস্যা ভিন্ন।

তবে আইন-নিয়ম সব ক্ষেত্রেই এক। প্রাক্তন ইডি কর্তা অনুপ জানাচ্ছেন, আর্থিক নয়ছয়ের মামলায় প্রথমে ইডির আধিকারিকেরা অভিযুক্তের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালান। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি ‘অপকর্ম’ সংক্রান্ত নানান নথি, তথ্য এবং প্রমাণ সংগ্রহ করার চেষ্টা করেন তাঁরা। টাকাপয়সা, গয়নাগাটির পাশাপাশি দলিল-দস্তাবেজ-সহ অন্য সমস্ত নথিপত্রই সংগ্রহ করা হয়। গোনা হয় টাকা। গয়নাগাটি বা বিদেশি মুদ্রার মূল্য নির্ধারণ করার পর সেই সব জিনিসপত্রের একটি ‘আটক তালিকা’ (সিজার লিস্ট) তৈরি হয়। তার পর টাকা, গয়না রাখা হয় কোনও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ভল্টে। নথিপত্র রাখা হয় বিভাগীয় দফতরে। এর পর আদালতকে সব জানানো হয়। পাশাপাশি, তদন্তের সুবিধার্থে ওই সব টাকা-গয়না-নথিপত্র সাময়িক ভাবে হেফাজতে নিতে (রিটেনশন) দিল্লিতে ‘অ্যাডজুডিকেটিং অথরিটি’র কাছে আবেদন করা হয়। স্বশাসিত ওই সংস্থা ইডিকে সর্বোচ্চ এক বছরের জন্য অনুমতি দিতে পারে। তার মধ্যে বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেলে ‘রিটেনশনের মেয়াদ’ সেই পর্যন্তই। অন্য দিকে, এই সময়ের মধ্যে আদালতে ‘প্রসিকিউশন কমপ্লেন’ জানাতে হয় তদন্তকারী সংস্থাকে। তা হলে বিচারপ্রক্রিয়া শেষ না-হওয়া পর্যন্ত ওই প্রমাণ এবং নথিপত্র নিজেদের হেফাজতে রাখতে পারে তারা। একই সঙ্গে ওই সম্পত্তি ‘অ্যাটাচ’ করার আবেদনও জানাতে হয়।

Where is the money recovered from the flat of Arpita Mukherjee now

অর্পিতার অন্য একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া বিপুল পরিমাণ টাকা। —ফাইল চিত্র।

ইডির এক প্রাক্তন আইনজীবী বলেন, ‘‘তদন্তকারী সংস্থা নিজেদের হেফাজতে সবটা নিতে চায়। কারণ, অন্যের সম্পত্তি বেশি দিন ওই ভাবে নিজেদের কাছে রাখতে পারে না কেউ!’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আঞ্চলিক ভাবে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ‘এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট’-এর নামে কেন্দ্রীয় সরকারের অ্যাকাউন্ট থাকে। সেই অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করেন ইডির বিভিন্ন আঞ্চলিক প্রধানেরা। ওই ব্যাঙ্কেরই ভল্টে উদ্ধার হওয়া টাকা-গয়না রাখা থাকে। অন্যান্য নথি থাকে তদন্তকারী আধিকারিকের হেফাজতে। সেই সব নথি পর্যবেক্ষণ করে তদন্তের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।’’

অর্পিতার দু’টি ফ্ল্যাট থেকে যে ‘টাকার পাহাড়’ উদ্ধার হয়েছিল, বিচারপ্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত তা অফিসপাড়ায় ব্যাঙ্কের ওই ভল্টেই থাকবে বলে দাবি ইডি আধিকারিকদের। ভল্টে থাকা টাকা-গয়না কোনও ভাবেই সম্পূর্ণ বা আংশিক নষ্ট করা যায় না। ইডির প্রাক্তন আইনজীবীর মতে, আদালত যে কোনও সময় প্রমাণ হিসাবে ওই টাকা-গয়না এবং নথি দেখতে চাইতে পারে। সেই সময় তা আদালতে হাজির করাতেই হয়। তাঁর কথায়, ‘‘এই সব প্রমাণ তাই কোনও ভাবেই নষ্ট, ধ্বংস বা হারিয়ে ফেলা যাবে না। সে জন্যই এত নিরাপদে ব্যাঙ্কের ভল্টে সেগুলি রাখা হয়।’’

ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষও বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখেন বলে জানালেন কলকাতার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের পূর্বাঞ্চলীয় সদর দফতরের এক কর্তা। তিনি জানাচ্ছেন, তদন্তকারী সংস্থার নামে যে অ্যাকাউন্ট থাকে, তার প্রেক্ষিতেই ওই ভল্ট দেওয়া হয়। তাঁর কথায়, ‘‘ভল্টে কী রাখা হবে, তা দেখার দায়িত্ব ব্যাঙ্কের নয়। ব্যাঙ্ক শুধুমাত্র ভল্টের নিরাপত্তা দেয়। সেখানে কী থাকবে বা কত দিন থাকবে, তা সম্পূর্ণ ওই অ্যাকাউন্ট যিনি পরিচালনা করবেন, তাঁর বিষয়। যেমন ব্যক্তিগত ভাবে কেউ ব্যাঙ্কের লকার নিয়ে থাকেন।’’

Where is the money recovered from the flat of Arpita Mukherjee now

অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা মেশিনে গোনার পর ট্রাঙ্ক বোঝাই করে নিয়ে যাচ্ছে ইডি। — ফাইল চিত্র।

ব্যক্তিগত লকার তো আয়তনে ছোট। কিন্তু ভল্টগুলি কি এমন ‘টাকার পাহাড়’ রাখার জন্য আয়তনে যথেষ্ট? ওই ব্যাঙ্ক কর্তা ‘নির্দিষ্ট’ কোনও বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি। তবে তাঁর বক্তব্য, ‘‘এটুকু বলতে পারি, ব্যাঙ্কের মাঝারি মাপের কোনও শাখার একটি ভল্টে ৩০০ কোটি টাকা রাখাও কোনও বিষয় নয়। সেই টাকা কোনও ভাবে নষ্টও হয় না।’’

তবে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া টাকার ক্ষেত্রে অন্য প্রশ্নও আছে— উদ্ধার হওয়া টাকার মধ্যে ২,০০০ টাকার নোটগুলির ভবিষ্যৎ কী! কারণ, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কয়েক মাস আগেই নির্দেশিকা জারি করেছে, বাজারে থাকা সমস্ত ২,০০০ টাকার নোট ব্যাঙ্কে জমা দিয়ে দিতে হবে আগামী ৩১ অগস্টের মধ্যে। ১ সেপ্টেম্বরের পর ওই টাকার ভবিষ্যৎ কী, তা অবশ্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বলেনি। ২,০০০ টাকার ওই নোটগুলিও কি জমা দিতে হবে?

ইডি, সিবিআই, আয়কর দফতর— প্রত্যেক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নিজেদের নিয়ম এবং আইন অনুযায়ী চলে। সিবিআইয়ের এক কর্তা বলেন, ‘‘কোনও তদন্তে খোলা অবস্থায় টাকা উদ্ধার হলে আমরা তা আদালতের অনুমতি নিয়ে সংস্থার কারেন্ট অ্যাকাউন্টে জমা দিই। খামবন্দি বা মোড়া অবস্থায় টাকা পাওয়া গেলে তা আদালতের অনুমতিক্রমে মালখানায় রাখা হয়। বিচারপ্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত তা সেখানেই থাকে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘কারেন্ট অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা ব্যাঙ্ক নিজেদের মতো করে বাজারে ব্যবহার করে। কিন্তু মালখানায় থাকা টাকা বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হওয়া পর্যন্ত নষ্ট, ধ্বংস বা পাল্টানোর প্রশ্ন থাকে না। কারণ, ওগুলো অভিযুক্তের অপরাধের প্রমাণ। পরে কেউ নির্দোষ প্রমাণিত হলে তা ফেরত দেওয়া হয়। নতুবা তা কেন্দ্রীয় সরকারের সম্পত্তি হিসাবে বিবেচিত হয়। তবে সবটাই আদালতের নির্দেশে।’’

আয়কর দফতরের এক আধিকারিক বলছেন, তাঁদের কর্মপদ্ধতি অন্য সংস্থাগুলির চেয়ে আলাদা। তাঁর কথায়, ‘‘কালো টাকা উদ্ধার করে আমরা তা বিভাগীয় অ্যাকাউন্টে জমা করি। ফলে নষ্ট, ধ্বংস বা পাল্টানোর প্রশ্ন আমাদের ক্ষেত্রে খুব একটা ওঠে না।’’

২০১৬ সালে নোটবন্দির সময়ে ভল্ট বা মালখানায় জমে-থাকা টাকার কী হয়েছিল? ইডির এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, তখন আদালতের নির্দেশ মেনে কাজ করা হয়েছিল। আদালতও ‘প্রমাণ’ হিসাবে থাকা নোট বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পাল্টানোর অনুমতি দেয়নি। রাজ্য পুলিশের এসপি পদমর্যাদার এক আধিকারিকও সেই কথা বলছেন। তাঁর কথায়, ‘‘নোটবন্দির সময় আমরা আদালতের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, বাতিল নোট কী করব? কোনও কোনও ক্ষেত্রে আদালত অনুমতি দিয়েছিল। আমরা সেই মতো ট্রেজারিতে নোট জমা করে পাল্টে নিয়েছিলাম। অনেক ক্ষেত্রে অনুমতি মেলেনি। সেই টাকা ওই ভাবেই প্রমাণ হিসাবে রাখা আছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা ওই সব প্রমাণের হেফাজতকারী মাত্র। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন আদালতই ও সবের মালিক।’’

একই বক্তব্য ইডিরও। প্রাক্তন কর্তা অনুপের মতে, ‘প্রমাণ’ হিসাবে ভল্ট বা হেফাজতে থাকা টাকা কোনও ভাবেই নষ্ট, ধ্বংস করা বা পাল্টানো যায় না। তাঁর কথায়, ‘‘এ ক্ষেত্রে ২,০০০ টাকার নোট ইডি হেফাজতেই রেখে দিতে হবে। পাল্টানো যাবে না। আরও একটা কথা মনে রাখতে হবে, এটা ‘নোটবন্দি’ নয়। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক শুধু জমা করতে বলেছে নোট। বাতিল হয়ে গিয়েছে, তা কিন্তু বলেনি। আর বিচারপ্রক্রিয়া শেষে এই নোট কোনও ভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের সম্পত্তি হলে তখন তারা সেটা বুঝে নেবে। ফেরত দেওয়ার বিষয়টাও তাদের হাতেই।’’

আরও পড়ুন
Advertisement