West Bengal SSC Scam

‘ভয়ঙ্কর পরিসংখ্যান’! নম্বরে জালিয়াতি করে স্কুলে চাকরির সিবিআই রিপোর্টে বিস্ময় বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর

দুর্নীতির শিকড় উপড়ে ফেলার কথা জানিয়ে বিচারপতি বসু বলেন, ‘‘দুর্নীতিবাজদের ফল ভুগতে হবে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, আমিও তাতে শামিল হচ্ছি।’’

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১২:৩৮
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। ফাইল চিত্র

স্কুলে শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় সিবিআইয়ের রিপোর্টে বেআইনি ভাবে চাকরি প্রাপকদের তালিকা দেখে বুধবার বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টের আর এক বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বললেন, ‘‘ভয়ঙ্কর পরিসংখ্যান।’’ স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের পেশ করা রিপোর্টের নির্যাস দেখে বৃহস্পতিবার বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি বসুও। তাঁর মন্তব্য, ‘‘এ তো হিমশৈলের চূড়া মাত্র। গোটা হিমশৈল জলের নীচে আছে। একের পর এক যা উঠে আসছে, তা ভয়ঙ্কর পরিসংখ্যান।’’

Advertisement

অর্থের বিনিময়ে বেআইনি ভাবে যাঁরা স্কুলের চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ, তাঁদের সম্পর্কে বিচারপতি বসুর মন্তব্য, ‘‘এই শিক্ষকেরা সমাজ গড়বেন? ভবিষ্যতে ছাত্ররা শিক্ষকদের দিকে আঙুল তুলবে, জিজ্ঞাসা করবে এঁরা কেমন শিক্ষক?’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি জানি না এর শেষ কোথায়। আগে আবর্জনা পরিষ্কার করুন। গোটা প্যানেল খারিজ করা উচিত। সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অবৈধ ভাবে নিযুক্ত ব্যক্তিরা যাতে অংশগ্রহণ করতে না পারেন সেই ব্যবস্থা করা উচিত।’’ সেই সঙ্গেই তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘দুর্নীতিবাজদের ফল ভুগতে হবে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, আমিও তাতে শামিল হচ্ছি।’’

প্রসঙ্গত, বুধবার সিবিআইয়ের তরফে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে পেশ করা রিপোর্টে বলা হয়েছে, মাত্র দু’একটি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে এবং সাদা খাতা জমা দিয়েই নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষকতা এবং গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি পর্যায়ে চাকরিতে নিয়োগের মেধাতালিকায় জায়গা পেয়েছেন অন্তত আট হাজার জন। যা শুনে চমকে যান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এই আট হাজারের মধ্যে কারা সুপারিশপত্র এবং নিয়োগপত্র পেয়েছেন তাঁদের তালিকা তৈরি করতে নির্দেশ দেন বিচারপতি।

সিবিআই রিপোর্ট জানাচ্ছে, নবম-দশমে ৯৫২ জন, একাদশ-দ্বাদশে ৯০৭ জন, গ্রুপ-সি ৩,৪৮১ জন এবং গ্রুপ-ডি পর্যায়ে ২,৮২৩ জন ওএমআর জালিয়াতির মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন। অর্থাৎ, সিবিআইয়ের অভিযোগ অনুযায়ী নিয়ম ভেঙে চাকরি দেওয়া হয়েছে মোট ৮,১৬৩ জনকে।

আরও পড়ুন
Advertisement