Kamduni Case Verdict

কামদুনি মামলা: হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু রাজ্যের

শুক্রবার দুপুরে রায় ঘোষণা হয় কামদুনি ধর্ষণ এবং খুনের মামলায়। ২০১৩ সালের ওই নৃশংস ঘটনায় এর আগে ফাঁসির সাজা দিয়েছিল নিম্ন আদালত। সেই সাজা কমিয়ে চার জনকে মুক্তি দেয় আদালত।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২৩ ২১:১০
হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যেতে চায় রাজ্য।

হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যেতে চায় রাজ্য।

কামদুনি মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। এ ব্যাপারে দেশের শীর্ষ আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। পরিকল্পনা চলছে পরিবারের সঙ্গে কথাবার্তারও। রাজ্যের হয়ে গোটা বিষয়টি দেখছে সিআইডি। রাজ্যের এই গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, এ নিয়ে আইনি পরামর্শও নেওয়ার কাজ শুরু করেছে রাজ্য।

Advertisement

কামদুনির ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় দুই ধর্ষকের ফাঁসির সাজা খারিজ করে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে হাই কোর্ট। পাশাপাশি আরও চার দোষী সাব্যস্তের সাজা মকুবও করেছে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ। শুক্রবারের এই রায়ের পর কামদুনির ঘটনায় ধর্ষিতার দুই বন্ধু এবং পরিবার তাঁদের হতাশার কথা জানিয়েছিলেন। এমনকি, এ-ও বলেছিলেন, এ রাজ্যে আর সুবিচারের আশা নেই। তার পরই জানা গেল হাই কোর্টের রায়কে মেনে নিচ্ছে না রাজ্যও। তারা সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাবে।

এ বিষয়ে দায়িত্বে থাকা সিআইডি সূত্রে খবর, ডিআইজি স্তরের এক অফিসারের অধীনে একটি বিশেষ দল তৈরি করেছে সিআইডি। তারাই বিষয়টি দেখছে।

শুক্রবার দুপুরে রায় ঘোষণা হয় কামদুনি ধর্ষণ এবং খুনের মামলায়। ২০১৩ সালের ওই নৃশংস ঘটনায় এর আগে ফাঁসির সাজা দিয়েছিল নিম্ন আদালত। সেই সাজা কমিয়ে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, দোষী সাব্যস্ত সইফুল আলি এবং আনসার আলিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হল। এ ছাড়া আর এক ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আমিন আলিকে বেকসুর খালাস করে হাই কোর্ট। নিম্ন আদালত আমৃত্যু জেলের সাজা দিয়েছিল আরও তিন দোষী সাব্যস্ত ইমানুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম এবং ভোলানাথ নস্করকে। ১০ বছর কারাবাস হয়ে গিয়েছে, এই যুক্তিতে তাদেরও সাজা মকুব করে আদালত।

আরও পড়ুন
Advertisement