বেঙ্গল সাফারি পার্কে সিংহশাবক। —নিজস্ব চিত্র।
শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে চলতি ২০২৪-২৫ সালে ৩০টি প্রাণীর জন্ম হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে তিনটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের শাবক এবং একটি এশিয়াটিক সিংহের শাবক। এ ছাড়া চারটি সাংহাই হরিণের শাবকের জন্ম হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিবৃতি প্রকাশ করে এ কথা জানিয়েছে বন দফতর। বেঙ্গল সাফারিতে আয়ও গত অর্থবর্ষের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে বেঙ্গল সাফারি থেকে সরকারের আয় হয়েছে প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে (ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত হিসাবে) আয় হয়েছে আট কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা।
গত বছর ফেব্রুয়ারিতে ত্রিপুরার সিপাহিজলা চিড়িয়াখানা থেকে একজোড়া সিংহদম্পতিকে আনা হয় বেঙ্গল সাফারি পার্কে। বাংলায় আসার পরে এখানকার পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে বিশেষ সমস্যা হয়নি ‘সুরজ’ এবং ‘তনয়া’ নামে ওই সিংহদম্পতির। বেঙ্গল সাফারিতেই দুই শাবকের জন্ম দেয় ‘তনয়া’। কিন্তু পরবর্তী কালে একটি শাবকের মৃত্যু হয়। অপর শাবককে বাঁচিয়ে তোলেন বেঙ্গল সাফারি পার্কের কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে ওই সিংহশাবকের বয়স প্রায় ১১ মাস। বৃহস্পতিবার বেঙ্গল সাফারি পার্ক পরিদর্শনে যান বন দফতরের প্রতিমন্ত্রী ( স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) বিরবাহা হাঁসদা। সঙ্গে ছিলেন রাজ্য চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের সদস্য সচিব সৌরভ চৌধুরী, উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল ভাস্কর জেভি-সহ অন্যেরা। বেঙ্গল সাফারির সিংহশাবকটির নামকরণ করার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাতে চান বেঙ্গল সাফারি কর্তৃপক্ষ। বস্তুত, ‘সুরজ’ এবং ‘তনয়া’ সিংহদম্পতির নামকরণও তিনিই করেছিলেন।
বৃহস্পতিবার বেঙ্গল সাফারি পরিদর্শনে গিয়ে বিরবাহা বলেন, “বাঘের পরে সিংহ প্রজননেও আমরা সাফল্য পেয়েছি। এটি আমাদের কাছে একটি দারুণ খবর। আমাদের খুব ভাল লাগছে। শুধু তা-ই নয়। সম্প্রতি সাংহাই হরিণ, হিমালয়ান ব্ল্যাক বিয়ারেরও জন্ম হয়েছে।” মন্ত্রী জানান, বেঙ্গল সাফারিতে কেবল বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে তা-ই নয়, প্রাণী বিনিময় প্রক্রিয়ায় আটটি বাঘকে অন্য চিড়িয়াখানায় পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে বেঙ্গল সাফারিতে ১১টি বাঘ রয়েছে। বন দফতরের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আগামী দিনে বেঙ্গল সাফারিতে একটি নতুন পাখিরালয়, অ্যাকোয়ারিয়াম-সহ আরও বেশ কিছু পদক্ষেপের ভাবনা রয়েছে।