R G Kar Medical College And Hospital Incident

শুক্রবার দু’ঘণ্টা দোকান বা অন্য কাজ বন্ধ রাখার আর্জি বিজেপির, লাগাতার ধর্নায় বসছেন সুকান্ত, শুভেন্দুরা

আরজি কর হাসপাতালের কাছাকাছি কোনও স্থানে মঞ্চ বেঁধে শুক্রবার শুরু হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতার ইস্তফার দাবিতে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ। দুপুর ২টো থেকে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় পথ অবরোধও হবে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০২৪ ১৪:৫৬
(বাঁ দিক থেকে) সুকান্ত মজুমদার এবং শুভেন্দু অধিকারী।

(বাঁ দিক থেকে) সুকান্ত মজুমদার এবং শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুন এবং মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচিতে অশান্তির ঘটনাকে হাতিয়ার করে এ বার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফার দাবিতে সুর চড়াল বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় ধারাবাহিক আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করলেন।

Advertisement

সুকান্ত জানিয়েছেন, শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে কলকাতা এবং জেলায় জেলায় আন্দোলন কর্মসূচি শুরু হবে। তিনি বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষের কাছে শুক্রবার দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত দোকানপাট এবং সমস্ত কর্মকাজ বন্ধ রেখে প্রতিবাদে শামিল হওয়ার জন্য আমরা আবেদন জানাচ্ছি।’’ সেই সঙ্গে তিনি জানান, দুপুর ২টো থেকে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় পথ অবরোধ করবেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা।

কলকাতায় বিজেপির রাজ্যস্তরের নেতাদের উপস্থিতিতে হবে আন্দোলন কর্মসূচি। আরজি কর হাসপাতালের কাছাকাছি কোনও স্থানে মঞ্চ বেঁধে শুরু হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতার ইস্তফার দাবিতে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ। বিজেপি সূত্রের খবর, সুকান্তের পাশাপাশি বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ হাজির থাকবেন। পাশাপাশি, শুক্রবারই বিজেপির মহিলা মোর্চা হাজরা মোড় থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়ি পর্যন্ত মোমবাতি এবং মশাল মিছিল করবে। সংগঠনের সর্বভারতীয় সভানেত্রী ভনতি শ্রীনিবাসন ওই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন বলে বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, আরজি কর-কাণ্ডে দোষীর ফাঁসির দাবি জানিয়ে শুক্রবারই পথে নামতে চলেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা। বিকেল ৪টের সময় মৌলালি মোড় থেকে ডোরিনা ক্রসিংয়ের উদ্দেশে মিছিল শুরু করবেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র ঋজু দত্ত বলেন, ‘‘সিপিএম এবং বিজেপির মধ্যে যে অবৈধ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, তা বুধবার রাতেই রাজ্যের মানুষ জেনে গিয়েছেন। আসলে তারা বাংলাদেশের কায়দায় নৈরাজ্য তৈরি করতে চাইছে। তাদের সেই প্রয়াস আমরা সর্বশক্তি দিয়ে রুখব। বিজেপি রাজ্যের মানুষকে কখনও কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিতে পারে না। মানুষ কোনও দলের অধীনে নয়। আমাদের নেত্রীর নেতৃত্বে আমরা শুক্রবার থেকেই পথে নেমে ওদের কর্মসূচির জবাব দেব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement