Justice Abhijit Gangopadhyay

‘ভুয়ো ৯৫২ জন শিক্ষকের স্কুল ও বাবার নাম দিন’, এসএসসিকে নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

নির্দেশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আরও জানান, ২৯ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবারের মধ্যে ওই ৯৫২ জনের বাবার নাম এবং কোন স্কুলে পড়েছেন সেটা উল্লেখ করতে হবে এসএসসি কর্তৃপক্ষকে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬:৪৯
গত ১৪ ডিসেম্বর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নবম-দশমের ৯৫২ জন চাকরিপ্রার্থীর উত্তরপত্র প্রকাশ্যে আনার জন্য এসএসসিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

গত ১৪ ডিসেম্বর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নবম-দশমের ৯৫২ জন চাকরিপ্রার্থীর উত্তরপত্র প্রকাশ্যে আনার জন্য এসএসসিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। —ফাইল চিত্র।

নিয়ম ভেঙে নিয়োগপত্র দেওয়া ৯৫২ জন শিক্ষকের নাম ও রোল নম্বর ছাড়াও তাঁদের বাবা এবং স্কুলের নাম প্রকাশ করতে হবে। শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই নির্দেশ দিয়েছেন। ওই নির্দেশে তিনি আরও জানিয়েছেন, আগামী ২৯ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবারের মধ্যে ওই ৯৫২ জনের বাবার নাম এবং কোন স্কুলে পড়েছেন সেটা উল্লেখ করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) কর্তৃপক্ষকে।

শুক্রবার নবম-দশমের নিয়োগ মামলার শুনানি পর্বে আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী জানান, নির্দেশ মতো উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) আপলোড করা হলেও তার সবগুলি খুলছে না। যদিও আদালতে কমিশনের কোনও আইনজীবী হাজির ছিলেন না শুক্রবার। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় কমিশনের সচিবকে এই মামলায় আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এসএসসির ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশের পরেও স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাজ দেখে আশ্চর্য হলাম। ওএমআর শিট প্রকাশ করতে বলা হয়েছিল। সেখানে কেন প্রার্থীর রোল নম্বর এবং জন্মতারিখ দিতে হবে? কেন এই ঘোমটা?’’ সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এই দুর্নীতি তো জনসমক্ষে আনা প্রয়োজন। সেখানে এখনও কেন আড়াল করছে কমিশন?’’

Advertisement

গত ১৪ ডিসেম্বর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নবম-দশমের ৯৫২ জন চাকরিপ্রার্থীর উত্তরপত্র প্রকাশ্যে আনার জন্য এসএসসিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। আদালতের নির্দেশ মতো কমিশন তাদের ওয়েবসাইটে উত্তরপত্রগুলি আপলোড করলেও তা সর্বসাধারণের জন্য প্রকাশ্যে আনা হয়নি। উল্টে উত্তরপত্র দেখার জন্য পরীক্ষার্থীর রোল নম্বর ও জন্মতারিখ চাওয়া হয়। তা নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। ওই শুনানিতে এসএসসির আইনজীবী জানিয়েছিলেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে উত্তরপত্রগুলি সকলে দেখতে পাচ্ছেন না। খুব দ্রুত সমস্যা কেটে যাবে। কিন্তু তা এখনও পুরোপুরি কাটেনি বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন
Advertisement