গ্রাফিক। সন্দীপন রুইদাস।
বুধ-সন্ধ্যায় মোদী মন্ত্রিসভার রদবদলে ছাঁটাই হওয়ায় পর বাবুল সুপ্রিয় জানিয়েছিলেন তাঁকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা (আস্ক টু রিজাইন) হয়েছে। রাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর শহরে সাংবাদিক বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে নাম না করে বাবুলকে নিশানা করলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মোদী মন্ত্রিসভা থেকে বুধবার ছাঁটাই হওয়া ১২ মন্ত্রীর একজনও বিষয়টি নিয়ে নেটমাধ্যমে বাবুলের মতো মন্তব্য করেননি বলে দিলীপের দাবি।
তবে বাবুলের মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে নারাজ দিলীপ। নাম না করে তাঁর মন্তব্য, ‘‘উনি (বাবুল) বলতে পারবেন, আমি জানি না।’’ তবে মোদী মন্ত্রিসভা থেকে বাবুলের বাদ পড়া প্রসঙ্গে, দিলীপের দাবি মন্ত্রিসভায় কে থাকবেন, কে বাদ পড়বেন তা স্থির করা অধিকার আছে প্রধানমন্ত্রীর।
বুধবার বাবুল নেটমাধ্যমে একটি পোস্টে লিখেছিলেন, ‘হ্যাঁ, আমি মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছি। ইস্তফা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এটা সঠিক পদ্ধতি নাও হতে পারে’। রাজ্যের বিজেপি নেতাদের একাংশের অভিযোগ, আসানসোলের বিজেপি সাংসদ তাঁর এই পোস্টে কার্যত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাজের পদ্ধতি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন।
বাবুলের এই মন্তব্য সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ বুধবার বলেন, ‘‘তাঁকে (বাবুল) যদি স্যাক (বরখাস্ত) করা হতো, তা হলে কি ভাল হতো? পদ্ধতি মেনে হয়েছে। আপনি পদ ছেড়ে দিন, অন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। আপনাকে অন্য কাজে লাগানো হবে। সবাই তাই করেন। ১২ জন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। কেউ তো এমন লেখেনি? কাজের প্রতি আস্থা রাখা উচিত। পার্টির কাজ করছি, বিধায়ক সাংসদ যা হয়েছি, তা পার্টির জন্য।’’
বাবুল তাঁর পোস্টে দলের অন্দরের বিবাদ সম্পর্কে ইঙ্গিত করেছেন। নেটমাধ্যমে তিনি লেখেন, ‘‘যেখানে ধোঁয়া বেরতে দেখা যায়, কোথাও না কোথাও আগুন তো থাকবেই।’’ যদিও সরকারের কর্মসূচি এবং দলের সাংগঠনিক অগ্রগতির স্বার্থে বিভিন্ন ধরনের রদবদল হয় জানিয়ে দিলীপ সাংবাদিক বৈঠকে হলেন, ‘‘অতীতেও অনেকে সরকার থেকে সংগঠনের কাজে গিয়েছেন। কেউ বাদ পড়েছেন। কেউ আবার মুখ্যমন্ত্রী থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্বে যাচ্ছেন। পার্টিতে সব কিছু চলতে থেকে। সবাইকে সব কাজ অভিজ্ঞ করার জন্য। আমাদের কাছে আনন্দের খবর মন্ত্রী সংখ্যা বাড়ছে। যাঁরা মন্ত্রী হচ্ছেন তাঁদের প্রশাসনিক ক্ষমতা অভিজ্ঞতা বাড়বে। পরবর্তী কালে বাংলার জন্য লাভ হবে।’’