Mid day meal: CBI enquiry

মিড ডে মিলে চার হাজার কোটি টাকা লুঠ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে, লোকসভায় দাবি শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্রর

কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান লোকসভায় বক্তৃতায় তৃণমূল সাংসদদের নিশানা করে বলেন, ‘‘এঁরা গরিবদের জন্য ভারত সরকারের দেওয়া টাকা লুঠ করছেন।’’

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ২৩:২৯

গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

বাংলায় মিড ডে মিলে চার হাজার কোটি টাকা তছরুপ হয়েছে। সোমবার সংসদে এই অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। লোকসভায় বক্তৃতায় তিনি তৃণমূল সাংসদদের নিশানা করে বলেন, ‘‘এঁরা গরিবদের জন্য ভারত সরকারের দেওয়া টাকা লুট করছেন।’’

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে মিড ডে মিলে দুর্নীতির অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘‘পিএম পোষণ যোজনা, মিড ডে মিলে ওঁরা সরকারি কোষাগারের চার হাজার কোটি টাকা তছরূপ করেছেন। তাই কেন্দ্রীয় সরকার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। সত্য সামনে আসবে। ওঁদের মন্ত্রীরা জেলে আছেন। ওঁদের ভয় লাগছে এ বার শীর্ষস্তরের নেতারা জেলে যাবেন। তাই সভায় গন্ডগোল করছেন। অধিবেশনের সময় নষ্ট করছেন।’’ পশ্চিমবঙ্গ সরকার নিজেদের দেশের আইনের ঊর্ধ্বে ভাবে বলে অভিযোগ করেন ধর্মেন্দ্র।

ধর্মেন্দ্রর অভিযোগের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বিজেপিকে নিশানা করেন। তিনি বলেন, ‘‘এখন তো কলে জল না পড়লেও সিবিআইয়ের কথা বলে। সিবিআই এবং ইডি যে ওদের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা, সেটা গোটা দেশের মানুষ জানে।’’ শান্তনুর দাবি, চার হাজার কোটি টাকা দূর অস্ত্র, বাংলায় মিড ডে মিলে চার কোটি টাকার দুর্নীতিও প্রমাণ করতে পারবে না বিজেপি। শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্য এমন করছে। তাঁর কথায়, ‘‘দুর্নীতি তো দূরের কথা উল্টে মিড ডে মিলের ১৮ কোটি টাকা বাঁচিয়েছে রাজ্য সরকার।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ নভেম্বর কৃষ্ণনগরে বিজেপির সভা শেষে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ‘‘মিড ডে মিলে সিবিআই তদন্ত হচ্ছে।’’ যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে তখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনও ঘোষণা হয়নি। ২৫ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেছিলেন, ‘‘মিড ডে মিল নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রচুর অনিয়ম দেখা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পরিদর্শক দল কয়েক বার এসেছে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনিয়ম ধরা পড়েছে। তাই শিক্ষা মন্ত্রক বাধ্য হয়েছে এ বিষয়ে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করে চিঠি লিখতে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement