Recruitment Scam

‘আমি নির্দোষ, আমি নির্দোষ, আমি নির্দোষ’! আদালত চত্বরে ‘তিন সত্যি’ করে শপথ ধৃত শান্তনুর

শান্তনু দাবি করেন তিনি নির্দোষ। তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে। তিনি কোনও টাকা নেননি। আদালতে ঢোকার আগে ধৃত যুবনেতা বলেন, “আমি নির্দোষ, আমি নির্দোষ, আমি নির্দোষ।”

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০২৩ ১৪:১৪
Trying to involved me in recruitment scam, Santanu Banerjee claimed he not received any money in Recruitment Scam

ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে, দাবি করলেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।

ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে। অবৈধ উপায়ে নিয়োগের জন্য তিনি কোনও টাকা নেননি। শনিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে ঢোকার আগে এমনই দাবি করলেন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার হুগলির যুবনেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমি নির্দোষ। আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে। আমি কিচ্ছু (টাকা) নিইনি।” তাঁর আরও দাবি, জেলের ভিতরে থাকা লোকজনই তাঁকে ফাঁসাচ্ছে। তবে এ বিষয়ে কারও নাম করেননি তিনি।

Advertisement

শুক্রবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে হুগলির তৃণমূল যুবনেতা শান্তনুকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করে ইডি। বিকেলের পর থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। শুক্রবার সকালে ইডির তলবে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হয়েছিলেন শাসকদলের যুবনেতা তথা হুগলি জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু। দিনভর জেরার পর রাতে তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

শুক্রবার বেলা ১১টা ৪০ নাগাদ সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন শান্তনু। তার পর থেকেই দফায় দফায় তাঁকে জেরা করেন ইডি আধিকারিকরা। নিয়োগ দুর্নীতিতেই ধৃত তৃণমূলের আর এক যুবনেতা কুন্তল ঘোষের বয়ানের ভিত্তিতেও শান্তনুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিক বার শান্তনুকে ডেকে পাঠিয়ে নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। কখনও তাঁকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন ইডির আধিকারিকেরা। কখনও বা তাঁর কাছ থেকে সম্পত্তির নথি চাওয়া হয়েছে। তল্লাশি হয়েছে তাঁর বাড়িতেও।

জানুয়ারি মাসেই শান্তনুর বলাগড়ের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। ইডি সূত্রের দাবি, তাঁর বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছিল ৩০০ চাকরিপ্রার্থীর তালিকা। এই তালিকায় নাম থাকা অন্তত ৭ জনের চাকরি হয়েছিল বলে জানতে পারে ইডি। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে দাবি, শুক্রবার ওই বিষয় নিয়েও গোয়েন্দাদের প্রশ্নের মুখে পড়েন শান্তনু। সূত্রের খবর, শান্তনুর বয়ানে একাধিক ‘অসঙ্গতি’ খুঁজে পায় ইডি। তার পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। শনিবার সকালে শান্তনুর স্বাস্থ্যপরীক্ষা হয়। বিধাননগর হাসপাতাল থেকে এক চিকিৎসক শান্তনুর স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য সিজিও কমপ্লেক্সে এসেছিলেন। আদালতে শান্তনুকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করার জন্য আবেদন জানাতে পারে ইডি।

আরও পড়ুন
Advertisement