Jhalda Municipality

কুর্সি বাঁচানোর সময় পেল শাসকদল! ঝালদা পুরসভায় সোমবারের আস্থাভোটে স্থগিতাদেশ

অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে জল্পনার মধ্যে গত ২৭ অক্টোবর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায় দল ছাড়ায় পুরসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় তৃণমূল।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২২ ১২:৫২
সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে ঝালদা পুরসভায় বেকায়দায় তৃণমূল।

সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে ঝালদা পুরসভায় বেকায়দায় তৃণমূল।

ঝালদা পুরসভার আস্থাভোট সোমবার হবে না। স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাই কোর্ট। সোমবার আস্থাভোট করাতে চেয়ে বিরোধী কাউন্সিলররা যে পদক্ষেপ করেছিলেন, পুরসভার উপপুরপ্রধানের আবেদনের ভিত্তিতে তা খারিজ করে দিলেন উচ্চ আদালতের বিচারপতি অমৃতা সিন্হা। সোমবারের নির্দেশে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, ২১ নভেম্বরেই হবে আস্থাভোট।

গত ১৩ অক্টোবর ঝালদার পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন বিরোধীরা। নিয়ম মেনে পুরপ্রধান ১৫ দিনের মধ্যে কোনও পদক্ষেপ না করায় উপপুরপ্রধানের কাছে আবেদন করা হয়। নিয়ম হল, সাত দিনের মধ্যে উপপুরপ্রধানের পদক্ষেপ করার কথা। সেই মতো ৩ নভেম্বর উপপুরপ্রধান জানিয়ে দেন, আগামী ২১ নভেম্বর আস্থাভোট হবে।

Advertisement

উপপুরপ্রধানের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ৭ নভেম্বর, অর্থাৎ সোমবার তলবি সভা ডেকেছিলেন বিরোধী কাউন্সিলররা। তার বিরুদ্ধে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুদীপ। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই সোমবারের আস্থাভোটে স্থগিতাদেশ দিলেন বিচারপতি। তিনি জানান, উপপুরপ্রধান যদি সাত দিনের মধ্যে পদক্ষেপ না করতেন, তা হলে বিরোধী কাউন্সিলররা আস্থাভোট ডাকতে পারতেন। কিন্তু গোটা প্রক্রিয়াই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হয়েছে।

প্রসঙ্গত, অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে জল্পনার মধ্যে গত ২৭ অক্টোবর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায় দল ছাড়ায় পুরসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় তৃণমূল। বদলে যায় সমীকরণ। ১২ আসনের পুরসভায় বিরোধী কাউন্সিলরের সংখ্যা বেড়ে হয় ৭। তার পর থেকেই আস্থা ভোট নিয়ে তোড়জোড় শুরু করেন বিরোধী কাউন্সিলররা। ঘটনাচক্রে, পুরসভা নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসাবে জয়ী হওয়ার পর জোড়াফুল শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন শীলা।

Advertisement
আরও পড়ুন