—ফাইল চিত্র।
রাজ্যে রামনবমীতে অশান্তি রোখার জন্য রাজ্য পুলিশের ২৯ কর্তাকে দশটি জেলা এবং পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় মোতায়েন করল নবান্ন। এসপি থেকে আইজি পদমর্যাদার ওই পুলিশ অফিসারদের আজ, শনিবার থেকেই ওই সব জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে। তাঁরা আগামী সোমবার পর্যন্ত সেখানে থাকবেন। এ ছাড়া র্যাফ-সহ রাজ্য পুলিশের বিভিন্ন ব্যাটালিয়ন এবং ইউনিট থেকে প্রায় ১৬০০ অতিরিক্ত পুলিশকর্মীকে পাঠানো হয়েছে বিভিন্ন জেলায়। উল্লেখ্য, অবস্থা সামাল দেওয়ার জন্য পূর্ব মেদিনীপুর, আসানসোল, শিলিগুড়ি-সহ আটটি জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে মহিলা র্যাফ।
গত বছর রামনবমীকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের এলাকা। এ বার সেটা মাথায় রেখেই সেখানে পাঁচ জন আইপিএস অফিসারকে পাঠানো হয়েছে। এর সঙ্গেই থাকছে হাওড়া পুলিশের নিজস্ব বাহিনী। ব্যারাকপুর, চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের সুরক্ষায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে চার জন করে আইপিএস অফিসারকে। এ ছাড়া ইসলামপুর, আসানসোল এবং মালদহে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তিন জন করে আইপিএস অফিসারকে।
পুলিশ সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিশ এলাকা বাদ দিয়ে রাজ্য পুলিশের এলাকায় শনিবার থেকে শুরু করে ২৫২৫টি রামনবমীর শোভাযাত্রা বেরোনোর কথা রয়েছে। ওই শোভাযাত্রার জন্য নির্দিষ্ট পথও ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত পাওয়া হিসেব অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি রামনবমীর শোভাযাত্রা বেরোবে পুরুলিয়ায়। সেখানে অনুমতিপ্রাপ্ত মোট শোভাযাত্রার সংখ্যা ২৯২। এর পরেই রয়েছে বীরভূম। সেখানে রবিবার রামনবমীর দিন ২২২টি শোভাযাত্রা বেরোবে। এ ছাড়া ইসলামপুর এবং আসানসোলে যথাক্রমে ১৮০ এবং ১৮৮টি শোভাযাত্রা বার করার অনুমতি রয়েছে।
রাজ্য পুলিশের এক কর্তা জানান, গত কয়েক বছর কোন জেলায় কী ঘটেছে তা বিচার করেই এবার বাহিনীকে সর্তক করা হয়েছে। জোর দেওয়া হয়েছে হাওড়া, আসানসোল, ব্যারাকপুর, চন্দননগরের মতো কমিশনারেট এলাকাকে। ওই সব জায়গায় অতিরিক্ত বাহিনী পাঠানোর পাশাপাশি সিনিয়র পুলিশকর্তাদের পাঠানো হয়েছে অবস্থা সামাল দেওয়ার জন্য। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার থেকে ওই অতিরিক্ত বাহিনী এবং পুলিশ অফিসারদের পাঠানো হলেও বৃহস্পতিবার থেকেই বিভিন্ন জেলায় স্পর্শকাতর এলাকা এবং যে পথে শোভাযাত্রা যাবে সেখানে টহল দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। স্পর্শকাতর এলাকায় অতিরিক্ত বাহিনী যেমন রাখা হচ্ছে, তেমনই রামনবমী শোভাযাত্রার সংগঠকদের কলকাতা হাইকোর্টের কপি দেওয়া হয়েছে, যাতে তাঁরা হাই কোর্টের নির্দেশগুলি মেনে চলেন।
সূত্রের খবর, এর সঙ্গেই নবান্নের তরফে বিভিন্ন জেলা এবং কমিশনারেটের পুলিশকে বলা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় রামনবমী নিয়ে নজরদারি কঠোর করতে। কারণ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো তথ্য ছড়িয়ে অশান্তি বাধাতে পারে দুষ্কৃতীরা। তা আটকানোর জন্য ওই নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে বিভিন্ন জেলার সাইবার সেলকে।