Sukanta Majumder controversy on Swamiji

শাহ-নড্ডার সফরের দিনেই তৃণমূলের ফুটবল-বিক্ষোভ, সুকান্তকে চাপে ফেলতে রাস্তায় নামছে যুব সংগঠন

শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় থেকে সিমলায় স্বামীজির বাড়ি পর্যন্ত তৃণমূল যুব কংগ্রেসের একটি প্রতিবাদ মিছিল হবে। এই মিছিলের নেতৃত্বে থাকবেন রাজ্য যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯:০৮
শাহ-নড্ডার সফরের দিনেই সুকান্তর মন্তব্যের প্রতিবাদে ফুটবল হাতে তৃণমূল যুব প্রতিবাদ।

শাহ-নড্ডার সফরের দিনেই সুকান্তর মন্তব্যের প্রতিবাদে ফুটবল হাতে তৃণমূল যুব প্রতিবাদ। ফাইল চিত্র।

এক দিনের সফরে কলকাতায় আসছেন বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর সেই দিনেই পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের স্বামী বিবেকানন্দকে নিয়ে একটি মন্তব্যের বিরুদ্ধে ময়দানে নামছে তৃণমূল যুব কংগ্রেস। দলীয় পতাকা ও স্বামীজির ছবি ছাড়াও ফুটবল হাতে রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ মিছিল করে সুকান্ত ও শাহের কাছে ক্ষমা চাওয়া দাবি তুলবেন তারা। কলকাতা উত্তর ও দক্ষিণে দু’টি পৃথক মিছিল করে প্রতিবাদ জানানো হবে।

Advertisement

শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় থেকে সিমলায় স্বামীজির বাড়ি পর্যন্ত তৃণমূল যুব কংগ্রেসের একটি প্রতিবাদ মিছিল হবে। এই মিছিলের নেতৃত্বে থাকবেন রাজ্য তৃণমূল যুবর সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। মিছিল প্রসঙ্গে রাজ্য তৃণমূল যুবর সাধারণ সম্পাদক সৌম্য বক্সী বলেন, ‘‘বিজেপি সভাপতি যে ভাবে স্বামীজির অবমাননা করেছেন, তা মেনে নেওয়া যায় না। তাঁকে প্রকাশ্যে নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতেই হবে। তাই আমরা এই প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করেছি।’’ দক্ষিণ কলকাতা তৃণমূল যুবর তরফ থেকেও কর্মসূচি করা হবে। ঘটনাচক্রে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিতে যাওয়ার কথা। বিজেপি সভাপতির মন্তব্যের জন্য তাঁকেও ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি তুলেছে তৃণমূলের যুবরা। তাই শাহের কালীঘাটে পুজো দিতে যাওয়ার সময় তৃণমূল যুব সংগঠনের সদস্যরা কোনও প্রতিবাদ বিক্ষোভ সংগঠিত করেন কি না, সে দিকে নজরে রাখতে শুরু করেছেন বাংলার রাজনীতির কারবারিরা।

উল্লেখ্য, রবিবার সকালে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ অনুষ্ঠানে যোগদান করতে ব্রিগে়ড এসেছিলেন সুকান্ত। সেখানেই সংবাদমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বালুরঘাটের সাংসদ বলেন, ‘‘বাংলা বহু যুগ ধরে সনাতন সংস্কৃতির ধারক এবং বাহক। ভক্তি আন্দোলনের পীঠস্থানও ছিল। মাঝে বাংলা কিছুটা ডিরেল্ড হয়েছিল বামপন্থীদের দ্বারা।’’ এর পর তিনি আরও বলেন, ‘‘এই দেখতে পাচ্ছেন না অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী। গীতাপাঠের চেয়ে ফুটবল খেলা ভাল যাঁরা বলছেন, তাঁরা বামপন্থী প্রোডাক্ট আর কী। এখন বাংলা সঠিক পথে যাবে। আজ থেকে শুরু হচ্ছে সঠিক পথে যাওয়া।’’

তাঁর এমন মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান শাসকদলের নেতারা। রবিবার সন্ধ্যায় তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে সুকান্তর মন্তব্যের সমালোচনা করেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, শশী পাঁজা, এবং তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষেরা। সোমবার বড়দিনের ছুটি থাকায় কোনও প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেননি তৃণমূলের যুবরা। মঙ্গলবার রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় তুলতে চাইছে তাঁরা। ঘটনাচক্রে, ওই দিনই শহরে থাকবেন বিজেপির দুই শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতা। তাই পুলিশ প্রশাসনকেও তাদের কলকাতা সফর ও তৃণমূল যুব সংগঠনের কর্মসূচি নিয়ে সজাগ দৃষ্টি রেখে চলতে হবে বলেই মনে করছেন রাজ্য রাজনীতির কারবারিদের একাংশ। যদিও রবিবারই জবাবে নিজের এক্স হ্যান্ডলে জবাবে সুকান্ত লিখেছিলেন, ‘‘টেট পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার কেলেঙ্কারি চাপতেই কি তৃণমূলের দাগি জেল খাটা আসামিরা টুকরো খবর ছড়িয়ে মিথ্যাচার করতে বাধ্য হলেন...?? আপনাদের সুস্থতা কামনা করি...।’’

Advertisement
আরও পড়ুন