TMC

‘বিধায়ক আস্ত চোর’, আঙুল উঁচিয়ে মুখের উপর অপবাদ বৃদ্ধের! মেজাজ হারালেন তৃণমূলের জীবনকৃষ্ণ

বুধবার ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। সে সময় অনভিপ্রেত পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিধায়ককে দেখে ‘চোর’ বলে ‘অপবাদ’ দেন সূর্য ঘোষ নামে এক বৃদ্ধ।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
বড়ঞা শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৩ ১৭:০৮
Picture of incident at Buwan

তৃণমূল বিধায়ক (নীল পাঞ্জাবি পরিহিত) জীবনকৃষ্ণ সাহাকে দেখে তাঁর উপর ক্ষোভ উগরে দেন বৃদ্ধ। —নিজস্ব চিত্র।

আমজনতার লক্ষ লক্ষ টাকা লুট করেছেন বিধায়ক। তিনি একটি আস্ত চোর। বুধবার দুয়ারে সরকার শিবিরে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে দেখে তাঁর মুখের উপর আঙুল উঁচিয়ে এমনই অভিযোগ করলেন মুর্শিদাবাদের বড়ঞার এক বৃদ্ধ বাসিন্দা। যা শুনে প্রকাশ্যেই মেজাজ হারালেন বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ। যদিও তাঁর দাবি, ভুল বোঝাবুঝির জন্যই এ হেন মন্তব্য করেছেন বৃদ্ধ।

বড়ঞা ব্লকের করুন্নরুন গ্ৰাম পঞ্চায়েতের মান্দ্রা উচ্চ বিদ্যালয়ে বুধবার ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির পরিদর্শনে গিয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ। সে সময় অনভিপ্রেত পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিধায়ককে দেখে ‘চোর’ বলে ‘অপবাদ’ দেন সূর্য ঘোষ নামে এক বৃদ্ধ। দৃশ্যতই বিড়ম্বনায় পড়েন বিধায়ক। অভিযোগ, বৃদ্ধের এই মন্তব্যে মেজাজ হারিয়ে বসেন জীবনকৃষ্ণ। পাল্টা হিসাবে আঙুল উঁচিয়ে বৃদ্ধকে শাসান তিনি।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, বার্ধক্য ভাতার আবেদন জমা দিতে বুধবার ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে গিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধ। তাঁর অভিযোগ, বার্ধক্য ভাতার আবেদনপত্র এখন জমা নেওয়া হচ্ছে না বলে শিবির থেকে জানানো হয়েছিল। তা জমা দেওয়ার জন্য পরের শিবিরে যেতে বলা হয়েছিল তাঁকে। এ ভাবেই বার বার তাঁর আবেদন গৃহীত হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন বৃদ্ধ। তাঁর দাবি, নথিপত্র নিয়ে সমস্যার জেরে বেশ কয়েকটি শিবিরে তাঁর আবেদন জমা নেওয়া হয়নি। যার জেরে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন তিনি। সে সময়ই শিবির পরিদর্শনে পৌঁছন বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিধায়ককে দেখে তাঁর উপর ক্ষোভ উগরে দেন বৃদ্ধ। জীবনকৃষ্ণের দিকে আঙুল উঁচিয়ে তাঁর নাম ‘চোর’ বলে ওঠেন। বৃদ্ধের অভিযোগ, ‘‘লাখ লাখ টাকা চুরি করে নিচ্ছেন তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ আর পঞ্চায়েতে প্রধান।’’ ভরা শিবিরে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে এ হেন অভিযোগে বিড়ম্বনায় পড়েন বিধায়ক। অভিযোগকারী বৃদ্ধকে আঙুল উঁচিয়ে শাসানোর অভিযোগও ওঠে বিধায়কের বিরুদ্ধে। যদিও শাসানিতে খানিকটা সুর বদলে বৃদ্ধ বলেন, ‘‘আমি জীবনকৃষ্ণকে ‘চোর’ বলতে চাইনি। তবে অনেক এমএলএ-ই তো জেলে যাচ্ছেন। তাই ‘এমএলএ-রা চোর’ বলেছি।’’ গোটা ঘটনাটি ভুল বোঝাবুঝির ফল বলে দাবি বিধায়কের। তিনি বলেন, ‘‘ভুল বুঝে এ অভিযোগ করেছেন বৃদ্ধ। নিজের ভুল বুঝতে পেরে অনুশোচনাও করেছেন।’’

আরও পড়ুন
Advertisement