Crime

Firing: রামপুরহাটের পর নদিয়ায় তৃণমূল নেতার উপর গুলি ছুড়ে হামলা, অবস্থা আশঙ্কাজনক

সারা দিনের কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। পথে মুড়াগাছা বাজারে আচমকাই পিছন থেকে এসে গুলি করে হামলা চালিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২২ ২২:৫১
সহদেব মণ্ডল

সহদেব মণ্ডল

রামপুরহাট-কাণ্ড নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এই আবহে তৃণমূল নেতার উপর হামলার ঘটনা নদিয়াতেও। নদিয়ার হাঁসখালিতে গুলি করা হয় তৃণমূল নেতা সহদেব মণ্ডলকে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে শক্তিনগর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কলকাতার একটি হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এমনকি সময়ের অভাবে তাঁকে কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথাও ভাবা হয়েছিল। তবে অবস্থার ক্রমাগত অবনতি হওয়ায় রাতের দিকে তাঁকে কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, সারা দিনের কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। পথে মুড়াগাছা বাজারে আচমকাই পিছন থেকে এসে গুলি করে হামলা চালিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। রাত ৮টা নাগাদ সহদেবের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। এর পর সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা সহদেবকে শক্তিনগর হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসার পরেও রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় কলকাতায় স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও সহদেবের স্ত্রী অনিমা মণ্ডল বলেন, ‘‘স্বামীকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা নেই। তাই কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’’ প্রসঙ্গত, অনিমা স্থানীয় পঞ্চায়েতের সদস্যা। চিকিৎসকদের বক্তব্য, খুব কাছ থেকেই মাথায় গুলি করা হয়েছে বলেই এ রকম আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যদিও আশঙ্কাজনক অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় তাঁকে শেষমেশ কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।

Advertisement

তৃণমূল নেতার উপর হামলা প্রসঙ্গে রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী রত্না ঘোষ, ‘‘কেন গুলি করা হয়েছে, কারা গুলি করেছে, তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। এখন সহদেবের চিকিৎসা নিয়েই আমরা বেশি ভাবছি। এই ঘটনায় বিজেপি-র ইন্ধন থাকতে পারে।’’

অন্য দিকে, বগুলা অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি শিশির রায়ের দাবি, ‘‘বিজেপিআশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আমাদের মনে হচ্ছে।’’

যদিও বিজেপি-র পক্ষ থেকে শাসকদলের এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলছেন, ‘‘আইনের শাসন কার্যত ভেঙে পড়েছে রাজ্যে। তদন্তের পর জানা যাবে নিশ্চয়ই এই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের ভাগ-বাটোয়ারার ব্যাপার রয়েছে।’’ প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই বোমার হামলার শিকার হয়েছিলেন জগন্নাথ।

জগন্নাথের উপর হামলার রেশ কাটতে না কাটতেই বোমা হামলায় খুন করা হয়েছে রামপুরহাটে তৃণমূলের উপপ্রধানকে। সোমবার রাতে ওই ঘটনার পর বগটুই গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে হত্যালীলা চালানো হয়। এই হত্যাকাণ্ড এখন রাজ্য রাজনীতির নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠেছে। আলোড়ন তৈরি হয়েছে জাতীয় স্তরে। এই আবহেই আরও এক তৃণমূল নেতার ওপর হামলার ঘটনা ঘটল নদীয়ায়।

আরও পড়ুন
Advertisement