Patient's Death In Malda

রাস্তার টাকা পকেটে পুরেছে বিজেপি, তাই মালদহের তরুণীর মৃত্যু, কুণালের তোপ, পাল্টা কটাক্ষ পদ্মের

বেহাল রাস্তার কারণে গ্রামে ঢুকতে পারেনি অ্যাম্বুল্যান্স। অসুস্থ তরুণীকে খাটিয়ায় শুইয়ে হাসপাতালের নিয়ে যাচ্ছিলেন পরিবারের লোকজন। পথেই মামণি রায় নামের বছর পঁচিশের ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:৫৭
Maldah

(বাঁ দিকে) কুণাল ঘোষ। শুভেন্দু অধিকারী (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

মালদহে রাস্তা খারাপের কারণে তরুণী রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় সরাসরি বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলল শাসক তৃণমূল। পাল্টা শাসকদলের উদ্দেশে কটাক্ষ ছুড়ে দিল পদ্ম শিবির। বেহাল রাস্তার কারণে গ্রামে ঢুকতে পারেনি অ্যাম্বুল্যান্স। অসুস্থ তরুণীকে অগত্যা খাটিয়ায় শুইয়ে হাসপাতালের দিকে রওনা দিয়েছিল পরিবারের লোকজন। শুক্রবার মালদহের বামনগোলায় পথেই মামণি রায় নামের বছর পঁচিশের ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।

Advertisement

শনিবার সকাল থেকে এ নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তেতে রয়েছে। বিকেলে এক্স (পূর্বতন টুইটার) হ্যান্ডলে তৃণমূল মুখপপাত্র কুণাল ঘোষ লেখেন, ‘‘কে দায়ী মামণির মৃত্যুর জন্য? বেহাল রাস্তার জন্য দায় কার? যে কারণে অ্যাম্বুল্যান্স ঢুকতে পারেনি। খাটিয়ায় শুইয়ে নিয়ে যা‌ওয়া হচ্ছিল ওই তরুণীকে।’’ এর পরেই কুণাল লিখেছেন, ‘‘বামনগোলা মালদহ উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। যেখানকার সাংসদ বিজেপির খগেন মুর্মু। ওই এলাকা হবিবপুর বিধানসভার অধীন। যেখানকার বিধায়ক বিজেপির জুয়েল মুর্মু।’’ কুণাল আরও লিখেছেন, ‘‘এই হল বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন সরকারের নমুনা।’’ এখানেই থামেননি কুণাল। তৃণমূল মুখপাত্র আরও লিখেছেন, ‘‘কেন্দ্রের বিজেপি সরকার শুধু গ্রাম সড়ক যোজনার টাকা দিচ্ছে না, তা-ই নয়, রাজ্য সরকার যে পথশ্রী ও রাস্তাশ্রী প্রকল্পের টাকা পাঠাচ্ছে তা পকেটস্থ করছে স্থানীয় বিজেপি। ধিক্কার জানাই।’’

পাল্টা হবিবপুরের বিধায়ক জুয়েল বলেন, ‘‘তৃণমূল আমাদের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে। অথচ, বামনগোলা পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূলের দখলে। জেলা পরিষদও ওদের। গোবিন্দপুর ও মহেশপুর পঞ্চায়েতও তৃণমূলের দখলে। রাজ্য সরকার তো তৃণমূলের রয়েইছে। কলোনি থেকে মালডাঙার যে চার কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা, তা এক দিনে হয়নি। বছরের পর বছর মানুষের দাবিকে অস্বীকার করে মর্জিমাফিক কাজ করে গিয়েছে তণমূল। জেলাশাসক বিজেপির জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন না। ডাকেন না। পথশ্রী-রাস্তাশ্রীর টাকা লুট করেছে তৃণমূল। এখন বিজেপির ঘাড়ে দায় চাপালে পার পাওয়া যাবে না।’’ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘এই লজ্জা রাখার জায়গা নেই।’’

মালডাঙা গ্রামের বাসিন্দা, বছর পঁচিশের তরুণী মামণি গত দু’তিন দিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন। শুক্রবার দুপুরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। হাসপাতালে ভর্তি করানোর জন্য ওই তরুণীর পরিজনেরা অ্যাম্বুল্যান্স ডেকে পাঠান। কিন্তু বেহাল রাস্তায় অ্যাম্বুল্যান্স দূরস্থান, গ্রামে কোনও যানবাহনই ঢোকে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এই অবস্থায় কোনও উপায় না দেখে মুমূর্ষু ওই তরুণীকে খাটিয়ায় তুলে গ্রামের মেঠো পথ পেরিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়। গন্তব্য ছিল বামনগোলা গ্রামীণ হাসপাতাল। কিন্তু বেহাল রাস্তা পেরিয়ে হাসপাতালে পৌঁছতে অনেকটা দেরি হয়ে যায়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তরুণীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।

আরও পড়ুন
Advertisement