TMC

সন্দেশখালির বিক্ষোভে ‘বিরোধীদের উস্কানি’ দেখছে তৃণমূল, শাহজাহান-শিবু নিয়ে কী বললেন কুণাল?

বুধবার থেকে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে সন্দেশখালিতে। সে দিন রাতে সন্দেশখালি-২ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শিবু হাজরার একটি পোলট্রি ফার্মে আগুন ধরিয়ে দেন উত্তেজিত জনতা। বুধবারের পর বৃহস্পতিবার শাহজাহানদের গ্রেফতারির দাবিতে পথে নেমেছিলেন স্থানীয় মহিলারা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৫:৩৬
TMC allegation against Opposition on Sandeshkhali Incident

তৃণমূলের সাংবাদিক বৈঠকে বিরবাহা হাঁসদা (বাঁ দিকে), চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, কুণাল ঘোষ। ছবি ফেসবুক।

তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ, শিবু হাজরা এবং উত্তম সর্দারের গ্রেফতারির দাবিতে সরব হয়েছেন সন্দেশখালির মহিলারা। যাকে কেন্দ্র করে গত দু’দিন ধরে উত্তপ্ত জেলিয়াখালি এলাকা। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। শিবুর তিনটি পোলট্রি ফার্ম এবং বাগানবাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। বিরোধীদের উস্কানিতেই সন্দেশখালিতে এমন ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। পাশাপাশি শাসকদলের তরফে আরও দাবি করা হচ্ছে, দু’দিন পর সন্দেশখালি নিয়ে কোনও ইস্যুই থাকবে না।

Advertisement

বৃহস্পতিবার বিধানসভায় বাজেট পেশের পরের দিন শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে বাংলার শাসকদল। সেই সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এবং রাজ্যের দুই মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও বিরবাহা হাঁসদা। সেখানেই সন্দেশখালি ইস্যুতে বলতে গিয়ে কুণাল বলেন, ‘‘কিছু মানুষের, কিছু ক্ষণের জন্য হয়তো কোনও ক্ষোভ ছিল। কোনও ব্যক্তির গলদ থাকতে পারে। কোনও এক ব্যক্তির সঙ্গে অন্য কোনও এক জনের সমস্যা থাকতে পারে।’’

এর পরেই কুণাল বলেন, ‘সেই সমস্যার জন্য কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি এবং আর একটা দল মানুষকে উস্কে দিয়ে সাময়িক গন্ডগোলের চেষ্টা করছে। প্ররোচনা দিয়েছে। সংযত ছিল তৃণমূল এবং পুলিশ। দু’দিন বাদে দেখা যাবে এই সমস্যা আর নেই।’’

বুধবার থেকে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে সন্দেশখালিতে। সে দিন রাতে সন্দেশখালি-২ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শিবু হাজরার একটি পোলট্রি ফার্মে আগুন ধরিয়ে দেন উত্তেজিত জনতা। বুধবারের পর বৃহস্পতিবার শাহজাহানদের গ্রেফতারির দাবিতে পথে নেমেছিলেন মহিলারা। শুক্রবারও একই ছবি দেখা যায় সন্দেশখালির জেলিয়াখালি এলাকায়। শাহজাহান, শিবুদের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গ্রামে অত্যাচার চালান তাঁরা। জোর খাটিয়ে গ্রামবাসীদের দিয়ে নানা কাজ করিয়ে নেন ইচ্ছার বিরুদ্ধে। জমির জবরদখল থেকে শুরু করে একাধিক অত্যাচারের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে।

শুক্রবার সকাল থেকে একই দাবিতে কাটারি, দা, বাঁশ, লাঠি হাতে পথে নেমেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই মহিলা। এমনকি, শুক্রবারও জেলিয়াখালি এলাকায় শিবুর তিনটি পোলট্রি ফার্মে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবারের ঘটনার পর সন্দেশখালিতে দু’পক্ষের পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দু’টি এফআইআরও দায়ের করা হয়েছে।

গত ৫ জানুয়ারি রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলায় তল্লাশি চালাতে শাহজাহানের বাড়িতে গিয়েছিল ইডি। সে দিন শাহজাহানের অনুগামীদের হাতে ইডি আধিকারিকেরা মার খেয়েছিলেন। সেই থেকে শাহজাহান ‘নিখোঁজ’। বার বার তাঁকে হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিস পাঠিয়েও লাভ হয়নি। পাল্টা গ্রেফতারি এড়াতে ‘আড়ালে’ থেকে আদালতে আবেদন করেছেন শাহজাহান। ইডি খুঁজছে তাঁকে। সেই নিয়ে শুক্রবার কুণাল বলেন, ‘‘বিজেপি যা তাড়াহুড়ো করছে, তাতে ইডি না আবার শাহজাহানকে খুঁজতে তাজমহল চলে যায়।’’

আরও পড়ুন
Advertisement