মৃত শিশুর দাদু শম্ভু সাহা গ্রেফতার। —নিজস্ব চিত্র।
ছোট বৌমাকে সহ্য করতে পারতেন না তাঁরা। সেই কারণেই নাতিকে খুন করেছেন দাদু। হুগলির চুঁচুড়ার গুপ্তিপাড়ায় শিশুহত্যার ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান এমনটাই।
রবিবার বাড়ির শৌচাগার থেকে উদ্ধার হয়েছিল পাঁচ বছরের স্বর্ণাভ সাহার দেহ। তদন্তে নেমে তারা মৃত শিশুর দাদু শম্ভু সাহাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার করা হয়েছিল শিশুর ঠাকুমা এবং জেঠিমাকেও।
পরিবার সূত্রে খবর, শনিবার সকাল থেকে নিখোঁজ ছিল স্বর্ণাভ। তন্নতন্ন করে খুঁজেও তার হদিস মেলেনি। পুলিশ খবর দেওয়া হয়েছিল। শিশুর খোঁজ পেতে এলাকায় ড্রোন উড়িয়ে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। পরে স্নিফার ডগ এনে বাড়িতেও খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। সেই সময়েই শৌচাগার থেকে উদ্ধার হয় স্বর্ণাভের দেহ। পুলিশ সূত্রে দাবি, শিশুটিকে তাঁর দাদুই খুন করে লুকিয়ে রেখেছিলেন। পরে পুলিশের নজর এড়াতে সুযোগ বুঝে শৌচাগারে রেখে দেওয়া হয়েছিল দেহ। বাড়ির সকলে যখন শিশুটিকে খোঁজাখুঁজি করছিলেন, সেই সময় ঘন্টা দুয়েকের জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন দাদু। তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, পরে পুলিশি জেরায় তিনি দাবি করেন যে, নাতির খোঁজ পেতে তিনি এক তান্ত্রিকের কাছে গিয়েছিলেন।
দীর্ঘ ক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পরেই শিশুটির দাদু, ঠাকুমা এবং জেঠিমাকে গ্রেফতার করা হয়। শিশুর পরিবারের দাবি, শম্ভু বদমেজাজি। ছোট বৌমাকে পছন্দ করতেন না। নাতিকেও দেখতে পারতেন না। সেই কারণেই খুন না কি নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই জানা গিয়েছে তদন্তকারীদের সূত্রে।