প্রতীকী ছবি
মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ও শমসেরগঞ্জে দু’বার নির্বাচন স্থগিত হয়েছিল। শনিবার ওই দুই কেন্দ্রে নির্বাচনের দিন ক্ষণ ঘোষণা হওয়ায় তৃণমূল কংগ্রেস শিবিরে যখন উচ্ছ্বাস, ঠিক তখনই রীতিমত বিপাকে কংগ্রেস। শমসেরগঞ্জে তাদের প্রার্থী জইদুর রহমান বেঁকে বসেছেন।
শমসেরগঞ্জে মনোনয়ন দাখিল করেন ৭ জন। জঙ্গিপুরে মনোনয়নপত্র জমা পড়ে ৯ জনের। তাঁদের বহাল রেখেই দুই কেন্দ্রে স্থগিত নির্বাচনের দিন ক্ষণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ফলে দুই কেন্দ্রেই আর নতুন করে মনোনয়নপত্র দাখিল বা প্রত্যাহার করার অবকাশ থাকছে না।
আর এতেই বিপাকে পড়েছে কংগ্রেস। জঙ্গিপুরে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী রয়েছেন আরএসপি-র প্রাক্তন বিধায়ক জানে আলম মিঞা। সেখানে কংগ্রেসের কোনও প্রার্থী নেই। সমঝোতা না হওয়ায় শমসেরগঞ্জে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী হিসেবে রয়েছে সিপিএমের মহম্মদ মোদাস্সর হোসেন এবং কংগ্রেসের জইদুর রহমান। জইদুর কিন্তু এ দিন বলেন, “কংগ্রেস থেকে তখন মনোনয়ন জমা দিলেও আমি আর এই নির্বাচনে লড়ব না। দলকে বহু আগেই এটা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
জইদুর সম্পর্কে তৃণমূলের জঙ্গিপুরের সাংসদ ও তৃণমূলের জেলা সভাপতি খলিলুর রহমানের সহোদর ভাই। তাঁদের যৌথ পরিবার। বিড়ি-সহ সমস্ত ব্যবসা তাঁরা চালান একই সঙ্গে। এই অবস্থায় কংগ্রেসের টিকিটে জইদুর লড়াই করলে অস্বস্তিতে পড়তে হবে খলিলুরকে। সেই কারণেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবার কথা এ দিন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে দিয়েছে জইদুর নিজেই। কংগ্রেস নেতা ও ফরাক্কার প্রাক্তন বিধায়ক মইনুল হক বলেন, “এই অবস্থায় কী আর করা যাবে? শেষ পর্যন্ত সিপিএম প্রার্থীকেই সমর্থন করতে হবে কংগ্রেসকে।”
দু’টি আসনই ছিল তৃণমূলের দখলে। জঙ্গিপুরে জিতেছিলেন জাকির হোসেন, শমসেরগঞ্জে আমিরুল ইসলাম। এ বারেও প্রার্থী রয়েছেন তাঁরাই। তবে নিমতিতা স্টেশনে বিস্ফোরণের শিকার হওয়ায় দীর্ঘদিন জাকিরের বাঁ পা জখম। এখনও চলাফেরায় নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। এ দিন জাকির বলেন, “রেকর্ড ভোটে জিতে জঙ্গিপুর উপহার দেব মুখ্যমন্ত্রীকে। আজ থেকেই নির্বাচনী প্রচারে নেমে পড়েছেন দলের কর্মীরা।” বিজেপির উত্তর মুর্শিদাবাদের জেলা সভাপতি সুজিত দাস নিজেই প্রার্থী জঙ্গিপুর কেন্দ্রে। বলছেন, “লড়াই কঠিন হলেও তৃণমূলের জয় সহজ হবে না।”