Jagdeep Dhankhar

রাজ্যপালের চা চক্রে যোগ দিতে রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী, নয়া সমীকরণের ইঙ্গিত!

গত বছর ১৫ অগস্টের চা চক্র বয়কট করায় মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেছিলেন রাজ্যপাল।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২১ ১৯:০৪
রাজ্য়পাল ও মুখ্য়মন্ত্রীর সমীকরণ বদলের ইঙ্গিত

রাজ্য়পাল ও মুখ্য়মন্ত্রীর সমীকরণ বদলের ইঙ্গিত নিজস্ব চিত্র

রাজ্যপালের ডাকা চা চক্রে যোগ দিতে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বিকেলে রাজভবন যান যান তিনি। রাজভবনের নিয়মানুযায়ী, স্বাধীনতা দিবস ও প্রজাতন্ত্র দিবসের বিকেলে রাজ্যপাল একটি চা চক্রের আয়োজন করেন। সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী-সহ বিশিষ্টজনেদের। তবে রাজ্যপালের সঙ্গেএই সাক্ষাৎ নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত কি না, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

রাজ্যপালের চা চক্রে যোগদান কোনও বাধ্যতামূলক বিষয় নয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। গত বছর প্রজাতন্ত্র দিবসের বিকেলে চা চক্রে যোগ দিলেও, ১৫ অগস্টের চা চক্রে না গিয়ে সকালেই সরকারি অনুষ্ঠান শেষে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাত্ করে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সকালে রাজভবনে গিয়ে বিকেলে চা চক্র বয়কট করায় মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে রাজ্য সরকার আয়োজিত রেড রোডের অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বেশ কিছু সময় কথাও হয় তাঁর। এরপরেই বিকেলে মুখ্যমন্ত্রীও পাল্টা সৌজন্য দেখিয়ে রাজভবনের অনুষ্ঠানে যোগ দেন। প্রসঙ্গত, গত ৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাত্ করতে রাজভবনে যান মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় এক ঘণ্টা একান্তে কথা হয় তাঁদের। নবান্ন ও রাজভবন সূত্রে জানানো হয়, একে নতুন বছরের শুরুতে সৌজন্য সাক্ষাত্ বলা হয়েছিল। কিন্তু বৈঠক প্রসঙ্গে রাজ্যপাল বা মুখ্যমন্ত্রী, প্রকাশ্যে কিছুই জানাননি।

Advertisement

রাজভবনের সঙ্গে নবান্নের বিরোধ বাড়তে বাড়তে তা একরকম দৈনন্দিন তিক্ততায় পৌঁছেছে। প্রায় নিয়মিত কোনও না কোনও প্রসঙ্গে সরকারকে তুলোধনা করেন ধনখড়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, শাসকদলের প্রতি আমলা ও পুলিশকর্তাদের ‘পক্ষপাতিত্ব’, রাজ্যে অবাধ ও নিরপেক্ষ ভোট হয় না বলে খোঁচা— এ সবই তাঁর নৈমিত্তিক কথাবার্তার বিষয়। সাংবাদিক বৈঠক করেও এ সব অভিযোগ তোলেন তিনি। টুইটে সব অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রীকে ট্যাগ করে তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন। কিছু ক্ষেত্রে সরকার পাল্টা জবাবও দেয়। তবে ইদানীং রাজ্যপালের ঘন ঘন টুইটের প্রবণতা কিছুটা কমেছে বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিদের একাংশ।আর এ সবের মধ্যে একই মাসে দু’বার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

আরও পড়ুন
Advertisement