Shaktigarh

কয়লা ব্যবসায়ীকে গুলি, সেই নীল গাড়ি পড়ে শক্তিগড়ের রাস্তায়, কোন পথে পালালেন আততায়ীরা?

রবিবার সকালে শক্তিগড় রেলস্টেশনের রাস্তায় নীল গাড়িটি খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। তারা জানিয়েছে, গাড়ির নম্বরপ্লেটটি ভুয়ো। এই গাড়ি থেকেই কয়লা ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়েছিল।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শক্তিগড় শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২৩ ০৯:৫২
The blue car from which shootout occurred in Shaktigarh was found by police.

যে নীল গাড়ি থেকে কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। নিজস্ব চিত্র।

শক্তিগড়ে কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝাকে গুলি করে খুনের ঘটনায় নতুন তথ্য এল পুলিশের হাতে। যে গাড়ি থেকে রাজুকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়েছিল, সেই গাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় মিলল রাস্তার ধার থেকে। আততায়ীরা গাড়িটি ফেলে অন্য পথে চম্পট দিয়েছেন বলে অনুমান করছে পুলিশ।

একটি নীল রঙের গাড়ি থেকে শনিবার রাতে রাজুকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন কয়েক জন দুষ্কৃতী। রাজুদের গাড়ি সে সময় শক্তিগড়ের আমড়া মোড়ের কাছে একটি ল্যাংচার দোকানের সামনে দাঁড়িয়েছিল। গাড়িতে চালকের আসনে ছিলেন রাজু। গুলিতে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর এক সঙ্গীও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

Advertisement

রবিবার সকালে শক্তিগড় রেল স্টেশনের রাস্তায় সেই নীল গাড়িটি খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। তারা জানিয়েছে, গাড়ির নম্বরপ্লেটটি ভুয়ো। সড়কপথে কলকাতার দিকে না গিয়ে রেলপথকেই বেছে নিয়েছেন আততায়ীরা। পুলিশের অনুমান, প্রথমে তাঁদের সড়কপথেই কলকাতার দিকে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু রাস্তার মোড়ে মোড়ে নাকা চেকিংয়ের সময় ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে তাঁরা পরিকল্পনা বদল করেন। রেলস্টেশনের রাস্তায় গাড়িটি ফেলে রেখে রাজুর আততায়ীরা ট্রেনে উঠে পালিয়ে গিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

ওই নীল গাড়ির মধ্যে থেকে বেশ কয়েকটি মদের বোতল উদ্ধার করেছে পুলিশ। দুষ্কৃতীদের শীঘ্রই ধরে ফেলা যাবে বলে তাদের অনুমান।

স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার রাত ৮টা নাগাদ একটি সাদা চারচাকা গাড়ি শক্তিগড়ের ল্যাংচা হাবে দাঁড়িয়ে ছিল। গাড়িতে ছিলেন চার জন। সেই সময় কলকাতাগামী একটি নীল রঙের গাড়ি থেকে গুলি ছোড়া হয়। স্থানীয়দের দাবি, চার থেকে পাঁচটি গুলি চালানো হয়। চালকের পাশের আসনে রাজু বসেছিলেন। মূলত তাঁকে নিশানা করা হয়। আরও এক জন গুলিতে জখম হন। দু’জনকেই বর্ধমানের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে রাজুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।

রাজুর মৃত্যু নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপির তরজা শুরু হয়েছে শনিবার রাতেই। রাজু বিজেপি নেতা ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে নিশানা করেন একদা বিজেপি ও বর্তমানে তৃণমূল নেতা বাবুল সুপ্রিয়। বাবুলের দাবি, তিনি যখন বিজেপিতে ছিলেন, তাঁর সঙ্গে দলের নেতাদের মতবিরোধের অন্যতম কারণ ছিলেন এই রাজু। রাজুকে দিলীপ এবং বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় দলে যোগদান করিয়েছিলেন। বাবুলের মন্তব্যের পরেই দিলীপের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে আনন্দবাজার অনলাইন। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। তবে বিজেপির রাজ্য নেতা তথা দুর্গাপুরের বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, ‘‘এখন বাবুল সুপ্রিয়ের কোনও গুরুত্ব নেই। খবরে আসার জন্যই এই ধরনের টুইট করছেন উনি। আসানসোলের মানুষ জানেন যে, উনি কী ধরনের মানুষ!’’

আরও পড়ুন
Advertisement