ত্রিপুরার আমবাসায় তৃণমূল যুবনেতাদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত বিজেপি। নিজস্ব চিত্র।
ত্রিপুরার আমবাসায় শনিবার আক্রান্ত হয়েছেন তৃণমূলের যুবনেতারা। সেই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে ত্রিপুরার বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। কিন্তু বিজেপি পাল্টা অভিযোগ করেছে, ঘটনাটি পুরোপুরি সাজানো।
আক্রমণের ওই ঘটনার পর থেকেই ফেসবুক লাইভ করে আক্রান্ত নেতারা বিজেপি-র বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে শুরু করেন। পাল্টা সেই ফেসবুক লাইভের একটি অংশ নেটমাধ্যমে পোস্ট করেন ত্রিপুরা বিজেপি-র দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কিশোর বর্মণ। নেটমাধ্যমে তিনি লেখেন, ‘আজকের ঘটনা সম্পূর্ণটাই নাটক এবং সাজানো। এই নাটকের পূর্ব প্রস্তুতির ভিডিয়ো আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম। এ ভিডিয়োটা ওদের মধ্য থেকেই আমার কাছে আসে।’ কিশোর আরও লেখেন, ‘ছাত্র মেরে ছাত্র রাজনীতি। আর কৃষক মেরে কৃষক আন্দোলন আমরা তাদেরকেই করতে দেখেছি। ভারতীয় জনতা পার্টি এই ধরনের অপসংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে না।’
যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা ও জয়া দত্তর উপর আক্রমণের ঘটনার প্রতিবাদে জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। বিজেপি-র সাজানো ঘটনার তত্ত্ব খারিজ করে ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূলের সভাপতি অশিসলাল সিংহ বলেন, ‘‘আমবাসায় আমাদের মারধর করা হয়। রক্তাক্ত করা হয় আমাদের মহিলা নেত্রী জয়াকে। আর বিজেপি নেতারা অভিযোগ থেকে মুখ বাঁচাতে এমন বর্বরোচিত আক্রমণকে সাজানো ঘটনা বলছেন! ত্রিপুরার মানুষ সব বোঝেন। এদের দিন শেষ হয়ে এসেছে। তাই আতঙ্কেই এমন আক্রমণ করেছে।’’
শনিবার এক সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ধর্মনগর গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূলকর্মীরা। কিন্তু দ্রুতই পুলিশকর্মীরা তৃণমূল কর্মীদের সরিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ের সামনে থেকে।