ত্রিপুরায় আক্রান্ত তৃণমূলের ছাত্র-যুব সংগঠনের নেতারা। —নিজস্ব চিত্র।
ত্রিপুরায় গিয়ে আক্রান্ত তৃণমূলের একাধিক ছাত্র-যুবনেতা। শনিবার সকালে ত্রিপুরার আমবাসা এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁদের উপর আক্রমণের ঘটনা ঘটে। আক্রান্ত হয়েছেন যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু ভট্টাচার্য, যুব সংগঠনের নেত্রী জয়া দত্ত ও যুবনেতা সুদীপ রাহা। গত এক সপ্তাহ ধরে তাঁরা আগরতলায় থেকে দলীয় কর্মসূচি পালন করছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, রাস্তায় একদল বিজেপিআশ্রিত দুষ্কৃতী তাঁদের উপর চড়াও হয়। ইট-পাথর ছোড়া হয় তাঁদের উপর। দেবাংশু-সুদীপদের গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। তাঁদের আরও অভিযোগ, বাঁশ-রড দিয়ে তাঁদের আক্রমণ করা হয়। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন সুদীপ। তাঁর অভিযোগ, সংগঠন বিস্তারের কাজে বাধা দিতেই এই ধরনের আক্রমণ চালানো হয়েছে। ঘটনাস্থলেই কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গিয়েছে তাঁকে। আক্রান্ত হয়েছেন দেবাংশু আর জয়াও। জয়ার গালে আঘাত লেগেছে। তাঁর গাল বেয়ে রক্ত ঝরতে দেখা যায়। ঘটনায় পুলিশি হস্তক্ষেপ চেয়ে ধর্নায় বসেছেন ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূলের নেতারা।
ঘটনার পরেই তীব্র ভাষায় বিজেপি-কে আক্রমণ করে টুইট করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের টুইটার হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, ‘ত্রিপুরা বিজেপি-র গুন্ডাবাহিনী তাদের প্রকৃত রং দেখিয়ে দিয়েছে। তৃণমূল কর্মীদের উপর এই বর্বরোচিত আক্রমণ বিপ্লব দেব সরকারের ত্রিপুরায় গুন্ডারাজ প্রতিষ্ঠা করার প্রমাণ। আপনাদের আক্রমণ দেখিয়ে দিচ্ছে আপনারা কতটা অমানবিক। তৃণমূল এক ইঞ্চিও জমি ছাড়বে না।’
ছাত্র-যুবনেতাদের উপর হামলার ঘটনার পর এক প্রতিনিধিদল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, আক্রমণের প্রশ্নে বিজেপি-কে ছেড়ে কথা বলবে না তৃণমূল। ত্রিপুরায় তাঁর সঙ্গে যাবেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
শুক্রবার ত্রিপুরা থেকে ফিরেছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল। তিনি আবারও যাবেন ত্রিপুরা। শনিবার সকালেই সাংগঠনিক কাজে আগরতলায় গিয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক সমীর চক্রবর্তী। সংগঠন বাড়ানোর কাজে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। এর আগে অভিষেকের ত্রিপুরা সফরের সময়ও তাঁর কনভয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছিল। যা নিয়ে ত্রিপুরা পুলিশের কাছে ডেপুটেশনও দিয়েছিলেন তারা।