TET

রাজ্যের বক্তব্য শুনেই রায়! আন্দোলনকারীরা রাতের মধ্যেই চাইলেন প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ

আইনজীবীর দাবি, এই মামলায় আন্দোলনকারীদের বক্তব্য না শুনেই নির্দেশ দিয়েছে সিঙ্গল বেঞ্চ। যদিও রাজ্য শুনানির সময় আদালতে দাবি করেছিল, তারা কয়েক জন আন্দোলনকারীকে ইমেল মারফত মামলার কপি পাঠিয়েছিল।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২২ ২১:২৩
প্রধান বিচারপতির সচিবালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন আন্দোলনকারীরা।

প্রধান বিচারপতির সচিবালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন আন্দোলনকারীরা। — নিজস্ব চিত্র।

টেট উত্তীর্ণ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের আন্দোলনস্থলে পুলিশ রাখার জন্য রাজ্যকে একক বেঞ্চ যে নির্দেশ দিয়েছিল, তাকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির সচিবালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলেন আন্দোলনকারীরা। রাতেই আদালত বসিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যেতে চাইছেন তাঁরা। এ প্রসঙ্গে মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের দাবি, এই মামলায় আন্দোলনকারীদের বক্তব্য না শুনেই নির্দেশ দিয়েছে সিঙ্গল বেঞ্চ। যদিও রাজ্য শুনানির সময় আদালতে দাবি করেছিল, তারা কয়েক জন আন্দোলনকারীকে ইমেল মারফত মামলার কপি পাঠিয়েছিল। তারই প্রেক্ষিতে মামলাকারীদের আইনজীবী জানিয়েছেন, কয়েক হাজার আন্দোলনকারীর মধ্যে কাকে ইমেল করা হয়েছে, তা জানা সম্ভব নয়।

টেট আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভের জন্য পর্ষদের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে বলে আদালতে অভিযোগ করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। জানিয়েছিল ৫০ জন কর্মীকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এই নিয়ে আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়েছিল তারা। বৃহস্পতিবার শুনানি চলাকালীন রাজ্য আদালতে জানায়, ৯ অক্টোবর বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট এবং এগ্‌জিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এপিসি ভবনে ১৪৪ ধারা জারি করে। ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সেখানে জমায়েত নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দেয়।

Advertisement

এই মামলার প্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্ট দু’টি নির্দেশ দিয়েছে। বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চ বলে, কর্মীরা যাতে বাধাপ্রাপ্ত না হয়, তা দেখতে হবে পুলিশকে। রাজ্য যে হেতু ১৪৪ ধারা জারি করেছে, তা কার্যকর করতে হবে পুলিশকেই। যদিও আন্দোলনকারীদের আন্দোলনস্থল বদলানোর ব্যাপারে কোনও নির্দেশ দেননি তিনি।

অভিযোগ, হাই কোর্টের নির্দেশের পরেই আন্দোলনকারীদের তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই তাঁরা প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবস্তবের সচিবালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। রাতেই দ্রুত ডিভিশন বেঞ্চ বসিয়ে শুনানির আর্জি করেন। এই মর্মে চিঠিও দিচ্ছেন তাঁরা।

Advertisement
আরও পড়ুন