Kunal Ghosh On Tapas Roy

নেতৃত্ব যদি সময়ে হস্তক্ষেপ করতেন, তবে তাপস রায়, সজল ঘোষকে দল ছাড়তে হত না, বললেন কুণাল ঘোষ

সোমবার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন তাপস। তার আগে গত ১ মার্চ তিনি সরকারি ও সাংগঠনিক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। বুধবার বিকেলে তিনি আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপিতে যোগ দেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২৪ ২০:৪০
(বাঁ দিকে) তাপস রায়। কুণাল ঘোষ (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) তাপস রায়। কুণাল ঘোষ (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

দলের নেতৃত্ব যদি সঠিক সময়ে সমস্যা সমাধানে হস্তক্ষেপ করতেন, তা হলে তাপস রায়কে দল ছেড়ে বিজেপিতে যেতে হত না। তাপস পদ্মশিবিরে যোগদানের পর এই মন্তব্য করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। এই প্রসঙ্গে তিনি তৃণমূল ছেড়ে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর হওয়া সজল ঘোষের কথা উল্লেখ করেছেন। সংবাদমাধ্যমকে কুণাল বলেন, ‘‘দলের নেতৃত্ব যদি সঠিক সময়ে হস্তক্ষেপ করত, তা হলে তাপস রায়, সজল ঘোষদের দল ছেড়ে যেতে হত না।’’ প্রসঙ্গত, কলকাতা পুলিশ যখন বাড়ির দরজা ভেঙে সজলকে গ্রেফতার করেছিল, তখনও সরব হয়েছিলেন কুণাল। যদিও বিজেপিতে যাওয়ার পর সজলের সঙ্গেও বিবিধ কারণে সংঘাত হয়েছে।

Advertisement

সোমবার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন তাপস। তার আগে গত ১ মার্চ তিনি সরকারি ও সাংগঠনিক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। বুধবার তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। তার পর এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) কুণাল লিখেছেন, ‘‘তাপস রায়ের দলত্যাগ দুর্ভাগ্যজনক। তাঁর বিজেপিতে যোগদান আরও দুর্ভাগ্যজনক। তবু আশা করব, তিনি শুভেন্দু-ভাইরাসে আক্রান্ত হবেন না। তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে ভালবাসতেন। তাঁদের আবেগে আঘাত করে তিনি যেন বিজেপির ভাষায় পুরনো দলের বিরুদ্ধে কুৎসিত আক্রমণ না করেন।’’

বস্তুত, গত সোমবার তাপসের বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের বাড়িতে তাঁকে বোঝাতে গিয়েছিলেন কুণাল এবং রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কিন্তু তাপস তাঁদের চা খাইয়ে স্পষ্ট বলে দিয়েছিলেন, বড্ড দেরি হয়ে গিয়েছে। কুণাল-ব্রাত্যেরা তাঁর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতেই স্নান সেরে বিধানসভায় ইস্তফা দেওয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন তাপস। তার পর তিনি জল্পনা সত্যি করে বুধবার পদ্মশিবিরে যোগ দেন। বুধবার সকালে তাঁকে ফোন করেছিলেন কেন্দ্রীয় বিজেপির তরফে বাংলার অন্যতম পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য এবং মঙ্গল পাণ্ডে। পদ্মশিবিরে যোগ দিয়ে তাপস বলেছেন, তিনি আর কখনও অন্য দলে যাবেন না।

সম্প্রতি উত্তর কলকাতার তৃণমূলে সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে প্রকাশ্য সমালোচনা করেছিলেন কুণাল। এমনও বলেছিলেন, সুদীপ আসলে বিজেপির লোক। আর তাপসের বক্তব্য ছিল, তাঁর বাড়িতে ইডিকে পাঠিয়েছিলেন সুদীপই। তাঁর এ-ও বক্তব্য ছিল, তার পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর পাশে দাঁড়াননি। অথচ ফিরহাদ হাকিম, শেখ শাহজাহানদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কুণাল অবশ্য এর মধ্যে সুদীপের আমন্ত্রণে তাঁর বাড়িতে গিয়ে ফিশফ্রাই, জলভরা সন্দেশ এবং চা খেয়ে এসেছেন। তবে তাপস চলে গিয়েছেন বিজেপিতে। তৃণমূলের অনেকের বক্তব্য, সুদীপের কারণেই তাঁকে দল ছাড়তে হয়েছে। গত দু’দিন ধরে কুণাল তাপসের উদ্দেশে অনুরোধ করেছিলেন, ইস্তফা দিলেও তিনি যেন অন্য দলে না যান। কিন্তু তা হয়নি। তাপস পদ্মশিবিরেই যোগ দিয়েছেন।

আরও পড়ুন
Advertisement